ফল আগে থেকে প্রায় স্পষ্টই ছিল। সংশয় প্রায় ছিল না বলেই চলে। সব সংশয়কে দূরে সরিয়ে দেশের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন শাসক দলের প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। তিনি পেয়েছেন ৫২৮ ভোট। অন্য দিকে, বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলভা পেয়েছেন ১২৮ ভোট। ১৫টি ভোট বাতিল করা হয়েছে৷
উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৭১টি ভোট। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়ের ঝুলিতে পড়েছে ৫২৮টি ভোট। ৭৮০ জন সাংসদের (লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে) মধ্যে ভোট পড়েছে ৭২৫ টা। এর মধ্যে ১৫টি ভোট বাতিল হয়েছে। ৭৪.৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতলেন ধনখড়। ১৯৯৭ সালের পর শেষ ছয় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সব থেকে বেশি ভোট পেলেন ধনখড়।
প্রসঙ্গত, লোকসভার ৫৪৩ জন এবং রাজ্যসভার ২৪৫ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় আটটি আসন খালি। ভোটদানে বিরত থাকছেন তৃণমূলের ৩৬ জন সাংসদ। যদিও তাঁদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। হিসেব বলছে, ৭৪৬ জন ভোটার শনিবার দুই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছেন।
এ দিনের ভোট দান নিয়ে খুব একটা জল্পনা ছিল না। বাংলার নজর ছিল কেবল দুই তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী ভোট দেন কি না। কারণ, তাঁরা যে দলের সাংসদ, সেই তৃণমূল কংগ্রেস ভোট দান থেকে বিরত রয়েছে। কিন্তু, দলীয় চিঠি-নির্দেশ সব অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোট দেন তৃণমূলের দুই সাংসদ। তার পর স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়েছে তাঁদের অবস্থান নিয়ে জল্পনা।
আইনজীবী হিসাবে পেশাদার জীবন শুরু করলেও এক কালে তা ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছিলেন ধনখড়। হয়েছেন বিধায়ক থেকে সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। ৭১ বছরের ধনখড়ের জন্ম, ১৯৫১ সালের ১৮ মে। রাজস্থানের এক জাঠ কৃষকের পরিবারে। সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশের আগে আইনকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন কিঠানা গ্রামের এই ছেলেটি। চিত্তৌরগড়ের সৈনিক স্কুলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাও করেছেন নিজের রাজ্যে। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা। এককালে রাজস্থান হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। জনতা দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিধায়ক হওয়ার আগেই সাংসদ হয়েছিলেন ধনখড়।
Be the first to comment