লাউডন স্ট্রিটে জাগুয়ার দুর্ঘটনার তদন্তে এবার নয়া মোড় ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল গাড়িটি চালাচ্ছিল ধৃত আরসালান পারভেজ কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে গাড়িটি চালাচ্ছিল আরসালানের দাদা রাঘিব পারভেজ ৷ দুর্ঘটনার পরই দুবাইতে পালিয়ে গিয়েছিল রাঘিব ৷ পরে দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ রাঘিবকে পালাতে সাহায্য করেছিল তার মামা মহম্মদ হামজা ৷ তাই তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল আরসালানকে। তাকেও ছাড়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে কারণ পুলিশের দাবি, আরসালান রাঘিবকে পালাতে সাহায্য করেছিলো। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে লাউডন স্ট্রিটে একটি বেপরোয়া জাগুয়ার গাড়ি প্রথমে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ গাড়িকে। তারপর ধাক্কা মারে ৩ পথচারীকে। তাঁদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গ্রেফতার করা হয় আরসালান রেস্তরাঁ চেনের মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত দুজনের নাম মইনুল আলম এবং ফারহানা ইসলাম তানিয়া। তিনি বাংলাদেশের ঝিনাইদহর বাসিন্দা আর বছর তিরিশের ফারহানা তানিয়া বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন। তৃতীয় ব্যক্তি মহম্মদ সফি রহমতউল্লাহ আহত হন ৷ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনিও বাংলাদেশের নাগরিক।
এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ গাড়িতে থাকা দুই আরোহীও আহত হন। তাঁদের নাম অমিত কাজারিয়া এবং কণিকা কাজারিয়া। তাঁদের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছ ৷ বর্তমানে তাঁরা সুস্থ আছেন বলে খবর ৷
Be the first to comment