অবশেষে দিল্লি পুলিশের ধরা পড়ল জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল তমলুক থেকে এই ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড ফরিদ শেখ ওরফে নিতুকে গ্রেপ্তার করে। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় মূল চক্রী হিসেবে তার নাম উঠে আসে। হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে।
জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসা ছড়ানোর পর যখন পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করে, ঠিক সেসময় থেকেই বেপাত্তা ছিল ফরিদ। তার খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। এরপর তমলুকে ফরিদের কাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিনই তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে খবর,ফরিদ শেখ ওরফে নিতু এই হিংসার ঘটনার মূল চক্রী। উসকানিতে মদত দিয়েছিল। দিল্লি পুলিশের একটি টিম পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন করা হয়েছিল নিতুকে গ্রেপ্তার করার জন্য। অবশেষে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয়। তাকে বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লিতে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় হিংসা ছড়ানোর ঘটনা ঘটে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে। একটি গোষ্ঠীর দাবি, শোভাযাত্রা চলাকালীন স্থানীয়রা ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে। অপর গোষ্ঠীর আবার দাবি, শোভাযাত্রা থেকেই স্থানীয় দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়, মসজিদে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে বেশ কয়েকজন বাঙালির নাম উঠে আসে। ধৃতদের মধ্যে ছিল সুখেন সরকার ও সুরেশ সরকার। তারা বাংলার বাসিন্দা। এছাড়া ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ মহম্মদ আসলামের বঙ্গ-যোগের সন্ধান মিলেছিল। জানা যায়, আনসার হলদিয়ার ডোকারের বাসিন্দা। এরপর ফকির শেখ ওরফে নিতুকে তমলুক থেকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের দাবি, সে-ই জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার মূল অভিযুক্ত।
Be the first to comment