শনিবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। আর সেই উপলক্ষে সেদিনই ৭৫ বছরের খরা কাটিয়ে নামিবিয়া থেকে আনা ৮টি চিতাকে মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে ছেড়ে দিতে দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি আক্ষেপ করেছিলেন, এতদিন চিতাদের পুনর্বাসনের কোনও চেষ্টাই করা হয়নি। নাম না করে তিনি কার্যত কংগ্রেসকে নিশানায় তোলার পরই পালটা দিল কংগ্রেস। তাঁকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে আক্রমণ করে হাত শিবিরের দাবি, প্রধানমন্ত্রী অসত্য বলছেন। অনেক আগেই কংগ্রেস ভারতে চিতা ফেরাতে পদক্ষেপ করেছিল।
১৯৫২ সালে চিতাকে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। তা উল্লেখ করে জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করেছিলেন, ”দুর্ভাগ্য এই যে তাদের পুনর্বাসনের জন্য কেউ কোনও চেষ্টা করেনি। এবছর স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে চিতাদের ফিরিয়ে নতুন শক্তি প্রদর্শন করল ভারত।” কোনও দলের নাম না করলেও মোদির লক্ষ্য যে শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেসই, তা পরিষ্কার। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়নি। অবশেষে রবিবাসরীয় সকালে কংগ্রেসের প্রচার বিভাগের সচিব জয়রাম রমেশ টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করে দাবি করলেন, প্রধানমন্ত্রী অনর্গল মিথ্যা বলেন।
ঠিক কী লিখেছেন জয়রাম? তিনি একটি চিঠি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই সেই চিঠি যেখান থেকে চিতা প্রকল্পের সূচনা হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনর্গল মিথ্যাবাদী। কাল আমি এই চিঠিটা দেখাতে পারিনি, কেননা ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র জন্য ব্যস্ত ছিলাম।’ তিনি যে চিঠিটি শেয়ার করেছেন, সেটি তাঁরই লেখা। সেই সময় কেন্দ্রে ইউপিএ-২ সরকার। দেশের এক বন্যপ্রাণ ট্রাস্টকে ওই চিঠিতে চিতার পুনর্বাসনের রোডম্যাপ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, নামিবিয়া থেকে চিতাদের নিয়ে বিশেষ বিমান বি-৭৪৭ জাম্বো জেট রওনা দিয়েছিল শুক্রবারই। সারারাত আকাশে উড়তে উড়তে সকালে দিল্লি হয়ে গোয়ালিওরের মাটিতে নামে। তাদের বিমানে আনা হয় বিশেষ সুরক্ষার সঙ্গে। বিমান থেকে ৮ টি চিতাকে নামিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কুনো জাতীয় উদ্যানে। বেলা ১১টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের সেই অরণ্যে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিই গাড়ি দরজা খুলে মুক্ত অরণ্যে ছেড়ে দেন ৫ স্ত্রী ও তিনটি পুরুষ চিতাকে।
Be the first to comment