মোবাইলে ও কম্পিউটারে নজরদারী চালানোর পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেন অরুণ জেটলি

Spread the love

বুধবারই দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে তল্লাশি চালিয়ে আইসিস সমর্থক একটি সংগঠনের ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে এনএইএ। অভিযোগ, তারা দিল্লিতে বড় ধরনের নাশকতার ছক কষেছিল। ওই ধরপাকড়ের উদাহরণ দিয়ে মোবাইলে ও কম্পিউটারে নজরদারী চালানোর পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি টুইট করে বলেন, এনআইএ একটি বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দিয়েছে। ওয়েল ডান। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, ইলেকট্রনিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর না রাখলে কি এই সন্ত্রাসবাদীদের ধরা সম্ভব হত?

কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে, মোট ১০ টি সংস্থা যে কোনও ব্যক্তির কম্পিউটারে নজর রাখতে পারবে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করেন, এই নির্দেশ থেকে ১০০ কোটি ভারতীয় বুঝতে পারবেন, একনায়ক কেমন ভয় পেয়েছেন। জেটলি তার জবাবে বলেছিলেন, ওই নিয়ম জারি হয়েছিল ২০০৯ সালে। যেখানে একটা উইঢিপিও নেই, সেখানে বিরোধীরা পর্বত বানাচ্ছেন।

পরে তিনি ফের টুইট করেন, ইউপিএ সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যক্তির ফোনে নজর রাখা হয়েছিল। জর্জ অরওয়েল নিশ্চয় ২০১৪ সালের মে মাসে জন্মাননি।
তাঁর কথায়, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোনও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই মানুষের জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকতে পারে। কোনও জঙ্গি উপদ্রুত রাষ্ট্রে তা থাকে না।

বুধবার দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা কয়েকজন ভিআইপি এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অফিসে হামলা চালানোর ছক কষেছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসে তারা দিল্লি পুলিশের সদর দফতর এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কার্যালয়ে হামলা চালাত। তাদের মোবাইলে আড়ি পেতে প্রথমে এনআইএ-র সন্দেহ হয়।

আগে কেবল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নাগরিকদের মোবাইল ও ই-মেলে নজর রাখতে পারত। এখন সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এনআইএ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো, এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট, সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ডায়রেক্ট ট্যাক্সেস, ডায়রেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, সিবিআই এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে।
এর পরেই বিরোধীরা অভিযোগ করেন, পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনে খারাপ ফলের পরে প্রধানমন্ত্রী

নরেন্দ্র মোদী ভয় পেয়েছেন। তাই মূলত বিরোধী রাজনীতিকদের ওপরে নজর রাখার জন্যই মোবাইলে ও কম্পিউটারে নজর রাখার চেষ্টা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের বক্তব্য, জঙ্গিদের ঠেকানোর জন্যই বৈদ্যুতিন যোগাযোগ মাধ্যমে নজর রাখা দরকার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*