জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে পারেন মন্ত্রী জাকির হোসেন

Spread the love

মন্ত্রী জাকির হোসেনের গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি৷ সূত্রের খবর, এবার জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে পারেন মন্ত্রী৷ জেলা পুলিশ থেকে তার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে খবর৷

ইতিমধ্যেই রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার সকালেই মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশন চত্বরে যায় সিআইডি-র তদন্তকারী দল। তাঁরা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন।বিশেষ করে স্টেশনের যে অংশে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেই এলাকা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বুধবার রাতে প্ল্যাটফর্মে কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।

ঘটনাস্থলে এখনও ছড়িয়ে রয়েছে বিস্ফোরণের বহু চিহ্ন। তা পরীক্ষা করেন সিআইডি আধিকারিকরা। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের রেললাইনে নেমেও তাঁরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। তদন্তকারী দলের মাথায় এডিজি সিআইডি অনুজ শর্মা। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি রেল পুলিশ (জিআরপি)-ও তদন্ত করছে। কারণ গোটা ঘটনাটি ঘটেছে নিমতিতা স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের উপরে। সেই সঙ্গে রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)-র নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই হামলার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে৷ এক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন রাজ্যের জাকির। দুই, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে এই হামলা হতে পারে। তিন, গরুপাচার নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই সরব ছিলেন জাকির। সে কারণেও হামলা চালাতে পারে দুষ্কৃতীরা।
[19/02, 1:09 PM] Arpan: জাকির হোসেনকে দেখতে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জাকিরের শারীরিক পরিস্থিতিরও খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি বলেছন, এটা পরিকল্পিত হামলা, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, রিমোটের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃ্ঙ্খলার অবনতি নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা খারিজ করে ঘটনার পুরো দায়ভার রেলের উপর চাপিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কেন রেলস্টেশনে আলো ছিল না? ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষের দেখা মেলেনি? জাকির রেলে যাবে নিশ্চয়ই ওরা জানত, তা সত্ত্বেও কোনও নিরাপত্তা ছিল না। রেল পুলিসের নিয়ন্ত্রণে থাকে রেল স্টেশন। রাজ্য পুলিসের আওতাধীন নয়।’ রেল অবশ্য আগেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি খারিজ করেছে।

এরপরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, রিমোল কন্ট্রোলে বিস্ফোরণ হলে এই মুহূর্তে এনআইএকে দিয়ে তদন্ত করা উচিত৷ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*