প্রতীকী ছবি,
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরকীয়া এখন আর শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। কিন্তু সেই পরকীয়া নিয়ে টানাপড়েনে জলপাইগুড়িতে অ্যাসিডে মুখ পুড়ল বধূর। অভিযোগ পেয়েই ওই বধূর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে বধূর শাশুড়িকেও।
২০১১ সালে কোচবিহার ঘোকসাডাঙার বাসিন্দা সাবিনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দা টাইলস মিস্ত্রি মহম্মদ মমিরুদ্দিনের। অভিযোগ, বিয়ের পরেই স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন সাবিনা। শুরু হয় অশান্তি। এরই সঙ্গে পণের দাবিতেও তাঁর উপর অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ করেছেন সাবিনা।
প্রতিবেশী মহিলার স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় গত ২৭ অগস্ট রাত একটা নাগাদ স্বামী মমিরুদ্দিন, শাশুড়ি মমিনা বেওরা ও প্রতিবেশী মহিলা সহ আরও একজন মিলে সাবিনার মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় সাবিনাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। জলপাইগুড়ি মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সুনন্দা সোনার জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ছাড়া পাওয়ার পর সাবিনা বাপের বাড়ি ঘোকসাডাঙায় চলে যায়। এরপর সোমবার রাতে জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় এসে স্বামী, শাশুড়ি, সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে গতকাল রাতেই মমিরুদ্দিন ও মমিনাকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুই অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। অ্যাসিড হামলার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত মমিরুদ্দিনের পাল্টা অভিযোগ, “আমার স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বহুবার মানা করেছি। কথা না শোনায় আমি অ্যাসিড ছিটিয়ে দিয়েছি।”
Be the first to comment