ছেলেধরা গুজবে ফের গণপিটুনি। আবার সেই জলপাইগুড়ি। এবার ফালাকাটার কাছে সিংগিজানিতে গণপিটুনির শিকার দুই যুবক। পেশায় গাড়ি চালক আহিদুল হক ও তাঁর সহযোগী আজাদ আলি মারাত্মক জখম অবস্থায় ফালাকাটা হাসপাতালে ভরতি। স্বতঃ প্রণোদিত মামলা রুজু পুলিশের। প্রচার, সচেতনতা শিবির, কোনও কিছুই কাজে আসছে না। জলপাইগুড়ি জেলায় গণপিটুনি চলছেই। মঙ্গলবার গভীর রাতে ফালাকাটার কাছে সিংগিজানিতে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হলেন দুজন। পেশায় গাড়ি চালক আহিদুল হক ও তাঁর সহযোগী আজাদ আলির ওপর চড়াও হয় একদল মানুষ। বারোঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আহিদুল ও আজাদ ধূপগুড়ি স্টেশন চত্বরে গাড়ি চালান।
গভীর রাতে ধূপগুড়ি স্টেশন থেকে ৫ যাত্রীকে তোলেন। বড় শুলমারি গ্রামে পৌঁছে দেন আহিদুল। ফেরার পথে সিংগিজানিতে আহিদুলের গাড়ি আটকান স্থানীয় বাসিন্দারা। ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার ২ জন। কোনও মতে পালিয়ে বাঁচেন ২ যুবক। আহিদুলের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় অন্য চালকদের ফোন করলে তাঁরা এসে দুজনকে উদ্ধার করেন। আহিদুল ও আজাদকে ফালাকাটা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ঘোকসাডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের। এই ঘটনার পর বারোঘরিয়ায় রাতে কোনও গাড়ি যেতে চাইছে না। গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। গুজবে কান না দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
শুধু এ রাজ্যই নয়, গণপিটুনির সংক্রমণ ছড়িয়ে গোটা দেশে। কখনও গোমাংসের নামে, কখনও ছেলেধরা গুজবে বেঘোরে মৃত্যুও হচ্ছে। গণপিটুনি রুখতে কেন্দ্রকে কড়া আইন প্রণয়নে পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে শুধুই কি আইন দিয়ে এই ব্যাধি মোকাবিলা করা সম্ভব? প্রশ্ন সমাজবিজ্ঞানীদের।
Be the first to comment