কোভিড ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেতেই সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হচ্ছে। সেখানে এক যুবককে একসঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা এলাকার ধুমপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। একসঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ নিয়ে গুরুতর অসুস্থ ওই যুবক বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে নাগরাকাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে যুবকের পরিবার ৷
পুলিশ জানায়, কোভিড ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ নেওয়া ওই যুবকের নাম পরিতোষ রায়। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি। ধুমপাড়ার পশ্চিম খাড়িকাটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক স্বাস্থ্যকর্মী অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে-বলতে পরিতোষকে পরপর ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুমপাড়ার পশ্চিম খাড়িকাটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান নাগরাকাটা উত্তর ধান্দাশিমলা এলাকার বাসিন্দা পরিতোষ রায়। তিনি জানান, ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর তিনি ভিতরে ঢুকলে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী তাঁকে চেয়ারে বসতে বলেন। ইঞ্জেকশনে ভীত পরিতোষ অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বসতেই তাঁকে পরপর ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরিতোষের কথায়, ‘ওই স্বাস্থ্যকর্মী অন্যদিকে ঘুরে কথা বলছিলেন। কথা বলতে বলতেই পরপর তিনটি ইঞ্জেকশন আমার হাতে ফুটিয়ে দেন। কটা ইঞ্জেকশন দিতে হয়, আমার জানা ছিল না।’ পরিতোষের প্রতিবেশী মিলন রায়ও ঘটনাটি দেখেছেন। তিনিই জানান, পরিতোষকে ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে নাগরাকাটা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে পরিতোষের পরিবার। যদিও ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত।
এদিকে, একসঙ্গে ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পরিতোষ। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর শরীরে ব্যথা, বমি ও মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। ঝুঁকি এড়াতে পরিতোষের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মালবাজারের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন পরিতোষ। যদিও স্বাস্থ্যকর্মীর কোভিড ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উত্তরবঙ্গের SDO ডাঃ সুশান্ত রায়।
Be the first to comment