শীতের অনেকটা আগে থেকেই তাপমাত্রা বেশ কমেছে ভূস্বর্গে। অপ্রত্যাশিত তুষারপাতে খুশি হয়ে গিয়েছেন পর্যটকেরা। কিন্তু এই তুষারের কারণেই মাথায় হাত আপেল চাষিদের। তোলার আগেই বরফ চাপা পড়ে নষ্ট হয়েছে বহু আপেল। এক জন চাষির ভিডিও ভাইরাল হতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে সকলের। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, তরুণ এক কৃষক কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আপেল খেতে। বরফ খুঁড়ে খুঁড়ে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন সমাহিত ফসল।
দেখা যাচ্ছে, তরুণ এক কৃষক কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আপেল খেতে। বরফ খুঁড়ে খুঁড়ে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন সমাহিত ফসল।
দেখে নিন ভিডিও।
Sir plz see this heart wrenching video, massive damage due to snow in south #Kashmir pic.twitter.com/DufDmZgm8S
— Umar Ganie (@UmarGanie1) November 4, 2018
একা ওই কৃষক নন। গোটা উপত্যকাতেই এই অবস্থা আপেল চাষিদের। আচমকা এগিয়ে আসা শীত অনেকটাই ক্ষতি করেছে রাজ্যের অর্থনীতির। পর্যটকদের বরফ নিয়ে খেলার আনন্দ যখন বারবার ঘুরেফিরে আসছে, তখনই অনেকটা ক্ষতির মুখে বেসামাল হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ফুলচাষিরা। প্রচণ্ড তুষারপাতে ভেঙে পড়া গাছ, ছিন্ন বিদ্যুৎসংযোগ, বন্ধ রাস্তার মাঝে বসে একটাই কথা বলছেন তাঁরা, প্রকৃতির মতো নিষ্ঠুর আর কিছু নেই। আব্দুল গোনি মীর নামের এক ব্যবসায়ী জানালেন, লাখ দশেক টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। যখন ঝুড়ি ভরে আপেল তোলার কথা, তখন তারা বরফের নীচে পচে যাচ্ছে শয়ে শয়ে।
আপেল চাষের উপরে নির্ভর করে আছে ভূস্বর্গের ২০ লক্ষ মানুষের রুটিরুজি। আর এই মরসুমে যে ক্ষতি হল, তা কেবল এই মরসুমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। নষ্ট হয়ে যাওয়া আপেল গাছগুলি আগামী কয়েক বছরের সংস্থানও নষ্ট করে দিল। একটি আপেল গাছ পূর্ণবয়স্ক হতে ১৬ বছর লাগে। সেখানে এত গাছের মৃত্যু গোটা অর্থনীতির জন্যই বড় ক্ষতি।
কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের তরফে জানা গিয়েছে, এই মরসুমে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ল আপেল চাষ। প্রতি বছর অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকার টার্ন ওভার আসে এই আপেল থেকে। এই বছরও সেই হিসেবের দিকেই এগিয়েছিল মোট উৎপাদিত আপেলের পরিমাণ, ২০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু সমস্ত আপেল তুলে ফেলার আগেই এই আচমকা তুষারপাত তা এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিল।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ আপেলচাষিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন।
Be the first to comment