গত ১৬ সেপ্টেম্বর জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার শালীন কাবরা ঘোষণা করেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে ১৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোট নদফায় ভোট হবে। সকাল আটটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। এই ঘোষণার পরেই কাশ্মীর জুড়ে শুরু হয়েছে অশান্তি। একের পর এক পঞ্চায়েত ভবনে আগুন লাগানো হয়েছে। মূলস্রোতের একাধিক দল জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনে অংশগ্ৰহণ করবে না।
ভোট ঘোষণার পরদিনই দক্ষিণ ও মধ্য কাশ্মীরের অন্তত আটটি জায়গা থেকে পঞ্চায়েত অফিস পোড়ানোর খবর পাওয়া যায়। প্রথমে ত্রাল অঞ্চলে একটি অফিসে আগুন দেওয়া হয়। প্রায় একই সময়ে শোপিয়ানের নাজিমপুরা থেকেও পঞ্চায়েত অফিসে আগুন লাগানোর খবর আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, এসব দুষ্কৃতীদের কাজ। অনেক জায়গায় মানুষ নিজেরাই আগুন নিভিয়েছেন।
ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি-র মতো দল জানিয়েছে, তারা নির্বাচনে অংশগ্ৰহণ করবে না। কারণ সংবিধানের ৩৫ এ ধারা নিয়ে সরকার অবস্থান স্পষ্ট করেনি। ৩৫ এ ধারায় কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দাদের কয়েকটি বিশেষ সুবিধা দেওয়া আছে। ওই ধারা বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা পড়েছিল। ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো দলগুলির অভিযোগ, এক্ষেত্রে সরকার স্পষ্ট করে ওই ধারার পক্ষে মতপ্রকাশ করেনি।
কংগ্রেস প্রথমে বলেছিল, রাজ্যের পরিস্থিতি এখন নির্বাচনের অনুকূল নয়। কিন্তু পরে ভোটে লড়বে জানিয়েছে।
Be the first to comment