শেষ মুহূর্তের একটা গোল চুরমার করে দিয়েছে জাপানিদের স্বপ্ন। তাদের সব আশা জল হয়ে নেমে এসেছে চোখের পাতায়। টোকিওর স্পোর্টস বারে ভোরের আলো ফুটতেই টিভির বড় পর্দার সামনে যারা ভিড় জমিয়েছিলেন, ভেঙে পড়েছেন তাঁরাও। কোয়ার্টার ফাইনালের এত কাছে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে নীল সামুরাইদের। দ্বিতীয়ার্ধে ২-০। তারপর হঠাৎই ঘুরে দাঁড়ানো বেলজিয়ামের। যুক্ত সময়ে ফল ৩-২, জিতে গেল বেলজিয়াম। ২১ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাও ওকাদা ধরেই নিয়েছিলেন জিতছে জাপান। শেষ বাঁশি বাজতেই কান্না লুকোতে পারেননি তিনি।
ফুটবলে যে দেশের জায়গা ৬১ নম্বরে, সেই দেশ শেষ ষোলোয় উঠবে, অতি বড় পণ্ডিতও বলতে পারেননি। ৩৯ বছরের হেয়ার ড্রেসার কেনিচি ওকেগামি মানছেন, বেলজিয়াম ভালো দল। ভালো টিমওয়ার্ক তাদের। ২-২ স্কোরের সময়ও তিনি ধরে নিয়েছিলেন পেনাল্টি শুটআউটের দিকেই গড়াচ্ছে ম্যাচটা। ১৯৭০ সালের পর এই প্রথম বেলজিয়াম দু-গোলে পিছিয়ে থেকে জিতল। ৬১ বছরের প্রাক্তন ফুটবল কোচ কেন্তা সাইতোর আক্ষেপ, আর একটু হলেই…। শেষের দিকে জাপান সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। রাশিয়ায় যখন রাত, জাপানে তখন ভোর পাঁচটা। হাল ছাড়ছেন না কেউই। সূর্যোদয়ের দেশে ফুটবলেও সূর্যোদয় হবেই।
Be the first to comment