দীর্ঘদিন ধরেই ‘বেসুরো’ হয়েছেন। তারইমধ্যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই তাঁর নামে দেওয়াল লেখা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ‘বয়সের কারণে’ টিকিট না দেওয়ায় চটলেন শিবপুরের বিদায়ী বিধায়ক জটু লাহিড়ি। ‘অপমানিত’ বোধ করায় ‘বঞ্চিত’ বিধায়ক দাবি করলেন, বিজেপির কার্যালয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।
এবার বিধানসভা ভোটে ৮০ বছরের উর্ধ্বে বিধায়কদের টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বয়সের কারণে জটু লাহিড়ির মতো কয়েকজনকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। যাঁদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না, তাঁদের জন্য বিধান পরিষদ তৈরি করা হবে বলেও দাবি করেন মমতা।
যদিও সেই আশ্বাসে চিঁড়ে ভেজেনি। বরং বাংলার ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিকে তাঁর কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়ায় তৃণমূলের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন ৮৪ বছরের বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলে অপমানিত বোধ করছেন তিনি। বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন। ‘যদি তোর ডাক না শুনে কেউ আসে, তাহলে একলা চলো রে’ ডাক দিয়ে একাই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে এসেছেন। বলেন, ‘এই সরকার যত তাড়াতাড়ি যাবে, তত দেশের মঙ্গল হবে। তত দেশের কল্যাণ হবে। কারণ এই সরকার নীতি-নৈতিকতাহীন হয়ে গিয়েছে। আমাদের বাংলাকে ভিখিরি করে দিয়েছে।’ তাঁর কার্যালয় থেকেও মমতা ও তৃণমূলের যাবতীয় ছবিও খুলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তাহলে কি শিবপুরে দাঁড়াচ্ছেন? জটু জানান, সেই সিদ্ধান্ত বিজেপি নেবে। তিনি কোনও স্বার্থ নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেননি। বিজেপি টিকিট না দিলেও তাঁর কোনও ‘দুঃখ’ নেই। যদি বিজেপি ‘অপমান’ না করে তাহলে ‘জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বিজেপি করে যাব’ বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে তাঁর বিশ্বাস, বিজেপি সর্বভারতীয় দল হওয়ায় তাঁকে অপমান করা হবে। যিনি দীর্ঘদিন ধরেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে কোনও মুখ খুলেছিলেন।
Be the first to comment