২০২৪ সালে কী তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হতে চলেছেন দেশের মুখ? মমতার পাঁচদিনের দিল্লির সফর কিন্তু তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন গীতিকার জাভেদ আখতার ও তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী শাবানা আজমি। এমনকী সাক্ষাৎ শেষে ২০২৪ নির্বাচনে মোদী বিরোধী জোট গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করলেন তাঁরা। একইসঙ্গে জাভেদ আখতারের কাছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান নিয়ে গান তৈরিরও অনুরোধ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাভেদ ও শাবানা। মমতাই কী এবার প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী? তিনিই কি মোদী বিরোধী জোটের মুখ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে জাভেদ আখতার বলেন, ‘কে নেতৃত্ব দেবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেশে পরিবর্তন আনাটাই মৌলিক বিষয়। আমার বিশ্বাস ২০২৪-এ পরিবর্তন আসবেই। দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে।’
উল্লেখ্য, জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমি দু’জনেই মোদী বিরোধী শিল্পী হিসেবেই পরিচিত। সে ক্ষেত্রে জাভেদ-শাবানা এদিন বুঝিয়ে দেন, মোদী বিরোধী জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
আর তখনই প্রসঙ্গ ওঠে ‘খেলা হবে’ স্লোগানের। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার কি মনে হয় খেলা হবে গানটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে?’ উত্তরে বর্ষীয়ান গীতিকার বলেন, ‘আপনাদের কি এখনও সংশয় রয়েছে এই নিয়ে? খেলা হবে খেল দেখিয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথাই নয়।’ তাঁর এই বক্তব্যকেই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। দু’জনেই বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী শিল্পী হিসেবেই পরিচিত। সব মিলিয়ে দিল্লিতে মমতার সঙ্গে জাভেদ-শাবানার সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিন বিকালে বিজেপি বিরোধী দল ডিএমকে’র সাংসদ কানিমোঝির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা, তারপরই বিকাল পাঁচটা নাগাদ জাভেদ আখতার ও শাবনা আজমির সঙ্গে দেখা করেন। সেই ছবি তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়্যাল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘বলিউডের পাওয়ার কপল জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক রম্য সাক্ষাৎ’।
জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমির সঙ্গে এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এই আলোচনা সহজেই বিনোদন জগতে ছড়িয়ে পড়বে। শাহরুখ খানের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্কের কথা কারুর অজানা নয়, এবার বলিউডের অন্দরেও ক্রমেই নিজের হাত শক্ত করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর জেরে তাতে সর্বভারতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।