মিনি জয়া সিনেমা হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড; ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন, গুরুতর আহত সিনেমা হলের দারোয়ান ও তাঁর স্ত্রী

উপস্থিত রয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু

Spread the love

ভয়াবহ আগুন লেকটাউনের জয়া সিনেমা হলে। শুক্রবার রাতে ৯ টা ১৫ নাগাদ এই আগুন লাগে বলে খবর। বর্তমানে ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন পৌঁছে গিয়েছে। আপাতত আগুন পুরোপুরি অনিয়ন্ত্রিত। সিনেমা হলের ৪ তলায় এই আগুন লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে স্থানীয় সূত্রে। জস্না গিয়েছে, সিনেমা হলের দারোয়ানের স্ত্রী রান্না করার সময় এই আগুন লাগে। মিনি জয়া হলটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি সিনেমা হল কর্মীদের। আগুন লাগার জেরে লেকটাউন সিনেমা হলের দারোয়ান ও তাঁর স্ত্রী আহত হয়েছে। তাঁদের ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে আরজিকর হাসপাতালে।

এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। দু’জন আহত হয়েছেন বলে খবর। আপতত আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছনর চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্টিকের কারণে এই আগুন লেগে থাকতে পারে।

আগুন লাগার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় কেটে গিয়েছে। কবে এখনও পর্যন্ত হাইড্রোলিক ল্যাডার আনা যায়নি। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। শেষ পাওয়া খবরে, আগুন লাগার জেরে এক বৃদ্ধা ও এক যুবক আহত হয়েছে। তাঁদের ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে আরজিকর হাসপাতালে।

ঘটনাস্থলে হাজির লেকটাউন থানার পুলিশও। গোটা এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি সল্টলেক-লেকটাউন এলাকারই বিধায়ক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি জানান, আগুনের অকুস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন দমকলকর্মীরা। সম্ভবত রান্না করার সময় গ্যাস থেকে এই আগুন লাগে বলে জানান সুজিত বসু। যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এখনও বেশ কিছু পকেটে আগুন রয়েছে। যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ঘণ্টাদুয়েক সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। হাইড্রোলিক ল্যাডারও আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ঘন জনবসতির কারণে তা এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি।

যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে। তাও কোথাও কোথাও আগুন রয়েছে কি না সেই বিষয়টি নিশ্চিত হতে চাইছেন দমকলকর্মীরা। এই মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখাও আর দেখা যাচ্ছে না। তবে পুরো সিনেমা হল চত্বর কালো ধোঁয়ার ভরে গিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা সেই সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নয় সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ। আগামিকাল সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই বোঝা যাবে কতটা ক্ষতি হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*