জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রাম বামেদের প্রতিনিধি দল ঢোকার চেষ্টা করতেই তুলকালাম কাণ্ড। পুলিশের বাধার মুখে পড়েন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়রা। পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি ও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। মাথায় হেলমেটধারী পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ঠেলাঠেলি শুরু হয় সুজন চক্রবর্তীদের। সুজন চক্রবর্তীকে পুলিশের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘কেন আটকাচ্ছেন? সব কিছুর একটা সীমা থাকা দরকার।’
বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢোকার মুখেই পুলিশ বাধা দেয় বামেদের প্রতিনিধিদলকে। বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও, কুলতলির আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল গুদামের হাট সংলগ্ন রাস্তার মোড়ে। বাম প্রতিনিধিদলের গাড়ি বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢোকার মুখে পথ আটকান পুলিশকর্মীরা। এরপরই বর্ষীয়ান বাম নেতাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সুজন চক্রবর্তীরা। কিন্তু তারপর আবার ব্য়ারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। দফায় দফায় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম নেতৃত্বের প্রতিনিধিরা।
জানা যাচ্ছে, দলুয়াখাকি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির মহিলাদের সঙ্গে আজ দলীয় অফিসে কথাবার্তা বলেন সিপিএম নেতার। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন। এরপর ওই মহিলাদের নিয়ে সিপিএমের এক প্রতিনিধিদল দলুয়াখাকি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরই মধ্যে মাঝপথে সিপিএমের প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিশ। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম নেতারা। বাম নেতৃত্বও সিদ্ধান্তে অনড়, এদিকে পুলিশও তাঁদের এগতে দিতে রাজি নয়।
সংবাদমাধ্যমের সামনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। বললেন, “আমরা সব মহিলাদের নিয়ে থানায় যাব। অভিযোগ জানাব। পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কতটা পুলিশের দায়িত্ব, আর কতটা আমাদের দায়িত্ব, সেটা বুঝিয়ে দিয়ে আসব। আমরা তিন দিন সময় দেব। তার মধ্যে কাজ না হলে, আমরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে আসব।”
Be the first to comment