ঘিয়াঘাটের ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ ও ৩৩ নম্বর বুথ। উপনির্বাচনের পর সবচেয়ে বেশি চর্চায় এই জায়গাটিই। এখানেই জয়প্রকাশ মজুমদারকে হেনস্থা করে ঝোপে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন ধরে জোর জল্পনা চলছিল।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছিল, সব সমীকরণ বদলে তৃণমূলের জেতা আসন ছিনিয়ে নিতে পারে বিজেপি। অনেকে লোকসভা নির্বাচনের সময় অর্জুন সিংহের পড়ে যাওয়া এবং নির্বাচনের ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন। কিন্তু সব সমীকরণ বদলে গেলো। যেখানে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল, সেখানেই ৩২ নম্বর বুথে মাত্র ২ টি এবং ৩৩ নম্বর বুথে ৩৮ টি ভোট পেলেন জয়প্রকাশ মজুমদার।
২৫ নভেম্বর ভোট চলাকালীন ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ ও ৩৩ নম্বর বুথের একটি ঘরের মধ্যে ৮-১০ জনকে নাকি রান্না করতে দেখা যায়। পাশেই দুই নির্দল প্রার্থী ফোনও ব্যবহার করছিলেন বলে খবর। এই নিয়ে নাকি প্রিসাইডিং অফিসারও কিছু জানতেন না। পরে বুথে ঢুকে এই বিষয়েই সরব হন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। অভিযোগ, তারপরই এই ঘটনা। জয়প্রকাশকে মারধর করে রাস্তার পাশে একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। রিপোর্ট গিয়েছিলো নির্বাচন সদনেও। মাত্র তিন দিন। ২৮ নভেম্বর, বদলে গেল সবকিছু। করিমপুরেও জয়ের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। বাজিমাত করতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার।
Be the first to comment