পূর্ণিমা কান্দুকে পুলিসি হেনস্তা, বুধবার ১২ ঘণ্টা ঝালদা বনধের ডাক কংগ্রেসের

Spread the love

বুধবার ১২ ঘণ্টা ঝালদা বনধের ডাক দিল কংগ্রেস। ঝালদা পুরসভার দলীয় কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন এবং মঙ্গলবার কংগ্রেসের ডাকে কালা দিবস ও মিছিলে পুলিসি নির্যাতনের প্রতিবাদে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এদিন পুরসভায় বোর্ড গঠনের বৈঠক ছিল। কাউন্সিলরকে খুন করে তৃণমূল অনৈতিকভাবে বোর্ড গঠন করছে, এই অভিযোগে কংগ্রেস এদিনটাকে কালা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল এবং পুরসভা পর্যন্ত একটি মিছিলের ডাক দিয়েছিল। সেই মিছিল পুরসভার সামনে পুলিস আটকে দেয়। মিছিলে থাকা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে পুলিস হেনস্তা করে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ।

এদিন সকালে কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী তপন কান্দুর বাড়ি গিয়ে পৌঁছন। সেখান থেকে মিছিল করে তাঁরা পুরসভার সামনে আসেন। মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। কালো ব্যাজ পরে কংগ্রেস কর্মীরা এই বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হন। পুরসভার সামনে পুলিস মিছিলের পথ আটকায়। তখন মিছিলের সঙ্গে পুলিস কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিস ব্যারিকেড করে রাখলে কংগ্রেস কর্মীরা তা ভেঙে এগনোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। মিছিলের সামনেই ছিলেন পূর্ণিমাসহ মহিলা কংগ্রেস কর্মীরা। ধস্তাধস্তির সময় মিছিলের ধাক্কায় এক মহিলা পুলিস রাস্তার উপর পড়ে যান। সে সময় পূর্ণিমাকে পুলিস হেনস্তা করে বলে অভিযোগ।

পূর্ণিমা কান্দু বলেন, আমার স্বামী ঝালদা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু এই বোর্ড গঠনের জন্য খুন হয়েছেন। তাই আমি এদিন কংগ্রেসের ডাকা কালা দিবস পালনে শামিল হয়েছিলাম। খুন করে বোর্ড দখলের প্রতিবাদেই এদিন মিছিল করে পুরসভার সামনে আসে কংগ্রেস। দলের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ণিমাসহ তাদের ৪ জয়ী কাউন্সিলর এদিন শপথ নিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে তাঁরা নিহত তপন কান্দুর স্মৃতিতে নীরবতা পালনের দাবি জানান। কিন্তু, তাদের অভিযোগ তৃণমূল সদস্যরা সেই দাবি নাকচ করে দেন।

তখন কংগ্রেস কাউন্সিলররা স্লোগান দিতে দিতে পুরসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তৃণমূলের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, বিধি অনুযায়ীই এদিন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। হাতে আর বেশি সময় ছিল না। কংগ্রেসের কাউন্সিলররাও এসে শপথ নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। উপস্থিত সদস্যরা তাঁকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*