টানাপোড়েন অব্যাহত। হাইকোর্টের নির্দেশে চেয়ারম্যান নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপাতত পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার
কংগ্রেস সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও জটিলতা পুরোপুরি কাটল, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে তৃণমূল।
কংগ্রেস বিধায়ক তপন কান্দুর খুনের পর থেকেই ডামাডোল পরিস্থিতি ঝালদা পুরসভায়। নাটকের পর নাটক। মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে আজ, সোমবা চেয়ারম্যান নির্বাচনে ৭-০ ব্যবধানে জিতে পুরসভা দখল করল কংগ্রেস। নতুন চেয়ারম্যান হলেন নির্দল থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া শীলা চট্টোপাধ্যায়।
এদিন মোট ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভায় ছিলেন ৬ কংগ্রেস কাউন্সিলর, ১ জন নির্দল ও ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর। ভোটাভুটিতে জয়ী শেষপর্যন্ত জয়ী হয় কংগ্রেস। আজ ভোটদানের সময়ে অন্য এক নির্দল কাউন্সিলরও কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দেন। অন্যদিকে, ভোটে অংশ নেননি তৃণমূল কাউন্সিলররা। তৃণমূলের ৫ জন এদিন ব্যালট নিলেও তা জমা দেননি বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ঝালদা পুরসভার ভোটে ১২ আসনের মধ্যে ৫টি কংগ্রেস, ৫টি তৃণমূল ও ২ আসন পায় নির্দল। বোর্ড ঘটন করে তৃণমূল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। ভোটভুটিতে পরাজিত হয় তৃণমূল। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি কংগ্রেসও। শেষপর্যন্ত তৃণমূলের এক কাউন্সিলরকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তার পর থেকে ফের অসন্তোষ শুরু। প্রশাসক বসানোর বিরুদ্ধে মামলা করে কংগ্রেস। সেই মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ১৬ জানুয়ারি চেয়ারম্যান নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। সেইমতো এদিন চেয়ারম্যান নিবাচনের মাধ্যমে নতুন করে বোর্ড দখল করে কংগ্রেস। তবে তৃণমূলের তরফে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ফলে আপাতত ঝালদা পুরসভা কংগ্রেসের হাতে থাকলেও, এই বোর্ডের ভবিষ্যত কিন্তু অনিশ্চিত।
Be the first to comment