রোজদিন ডেস্ক :-
উৎসবের মধ্যে বিষাদের ছায়া। এক মহিলা কাউন্সিলরের রহস্যমৃত্যু ঘিরে শোরগোল পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা এলাকায়।
মৃত মহিলার নাম পূর্ণিমা কান্দু। বছর দুয়েক আগে ভোটে জেতার পর আততায়ীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। পূর্ণিমা তপনেরই স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতে তিনি কাউন্সিলর হয়েছিলেন।
তপন কান্দুর মৃত্যুর মামলা এখনও আদালতে বিচারাধিন। সেই ঘটনার সঙ্গে পূর্ণিমার রহস্যমৃত্যুর যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন জেলার কংগ্রেস নেতারা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধেয় বাড়িতেই ছিলেন ওই পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা। ছেলে ও মেয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল। ফিরে দেখে ঘরের দরজা ভেজানো। ভিতরে মাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেন। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা পূর্ণিমাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে রাতেই সেখানে পৌঁছন কংগ্রেসের পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো-সহ দলীয় নেতৃত্ব। নেপালবাবু বলেন, “কী কারণে মৃত্যু, তা ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে সেই রিপোর্ট হাতে না আশা পর্যন্ত কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।”
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জেতার পর ২০২২ সালের ১৩ মার্চ বাড়ির অদূরে আততায়ীদের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন তপন কান্দু। কংগ্রেসের তরফে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। শোরগোল তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আদালতের নির্দেশে রাজ্য পুলিশ তদন্তভার হস্তান্তর করে সিবিআইকে। ওই ঘটনায় জেলে রয়েছেন সাত জন। বিচারাধিন ওই মামলার সঙ্গে পূর্ণিমার অস্বাভাবিক মৃত্যুর যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা দিচ্ছেন না কংগ্রেসের নেতারা।
Be the first to comment