রবিবার সকালে ঝাড়গ্রামের গোলবান্ধী গ্রামের একটি পুকুর থেকে ভেসে ওঠে একটি। দেহ। নিমেষের মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সীমা মাহাতো(১৪)।
মৃতার মামা এসে দেহটি শনাক্ত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী সীমা। রবিবার সকালে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে সীমার দেহ।
জানা গিয়েছে, সীমার বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার দুধকুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোডাঙ্গা গ্রামে। তার মা জয়ন্তী মাহাতো এবং বাবা লাল্টু মাহাতো দু’জনেই চাষের কাজ করেই দিন গুজরান করেন। অভাবের সংসার। মেয়েকে অভাব থেকে দূরে রাখতে মামারবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন জয়ন্তীদেবী। গোলবান্ধী গ্রামে মামারবাড়ি থেকে পড়াশোনা করত সীমা।
এ দিকে সীমার মামা বিভূতিভূষণ মাহাতো জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে তাঁদের বাড়িতে ঢুকেছিল একজন অচেনা ছেলে। ধরা পড়ার পর বকাঝকা করে ছেলেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর শনিবার সকাল থেকেই খঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না সীমাকে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই অজ্ঞাতপরিচয় ছেলেটির খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি। সীমার মামারবাড়ির কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা সেতাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনকী আত্মহত্যার অনুমানও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রেম ঘটিত কোনও কারণেই মৃত্যু হয়েছে সীমার। তবে তা খুন নাকি আত্মহত্যা সেটা সময়ই বলবে।
Be the first to comment