পাঁচ বছর ধরে একের পর এক ব্যাঙ্ক ডাকাতি করে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল কানাডার কুখ্যাত নিউটন গ্যাং। সে প্রায় এক শতাব্দী আগের ঘটনা। নিজেদের বুদ্ধির জোরেই পুলিশকে বোকা বানিয়ে চম্পট দিত তারা। কারোর কোনও ক্ষতি না করে ব্যাঙ্কের স্ট্রং রুমে ঢুকে বেশ আরামে লুঠ চলত। আজও সেই ডাকাতি রহস্য জানা যায়নি।
ঝাড়খণ্ডের দুমকা শহরেরও ঘটে গেল এরকমই ঘটনা। কালো মুখোশ পড়া ৬ ডাকাত সোজা ব্যাঙ্কে ঢুকে ৩৫ লক্ষ টাকা লুঠ করে বেরিয়ে গেল। তবে নিউটন গ্যাংয়ের মতো এদের বুদ্ধি খরচ করতে হয়নি। বরং ব্যাঙ্কের খারাপ রেড অ্যালার্ট মেশিনই তাদের সুযোগ করে দিয়েছে। তাই কোনওরকম ঝামেলা ছাড়াই ব্যাঙ্কে ঢুকে তারা ডাকাতি করে। নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় ডাকাতি আরও সহজ হয়ে উঠেছিল। অন্তত পুলিশের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি স্পষ্ট হয়েছে।
ব্যাঙ্কের ব্যস্ত সময়ে না এসে সন্ধ্যায় টাকা লুঠ করতে এসেছিল ওই ছয় ডাকাত। ব্যাঙ্কে তখন হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী। যাঁরা কাজ মিটিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ করতেই যাচ্ছিলেন। তখনই সশস্ত্র ডাকাতরা এসে টাকা লুঠ করে। হাতে সময় নিয়েই চলে ডাকাতি। ডাকাতির সময় বাজেনি কোনও অ্যালার্ম, ছুটে আসেননি কোনও নিরাপত্তা রক্ষী। কারণ, প্রয়োজনীয় এই ব্যবস্থাগুলি না কি ব্যাঙ্কে নেই। ঘটনাটি মঙ্গলবার সন্ধ্যার, দুমকার পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের।
ডাকাতির পর হৈ হৈ পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসে দুমকা পুলিশ। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে অবাক করে। দেখা যায়, বেশ চিন্তামুক্ত ৬ ডাকাত অস্ত্র হাতেই ব্যাঙ্কে ঢোকে। দু জন ব্যাঙ্কের গুটি কয়েক কর্মীদের ভয় দেখায়। বাকি চার জন মানি কাউন্টার থেকে টাকা নিতে শুরু করে। ৩৫ লক্ষ টাকা লুঠ করে তারা বেরিয়ে যায়।
দুমকার এই বড়সড় ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে। দিনে-দুপুরে এই ডাকাতি হতেই পারে বলে মনে করছেন ব্যাঙ্কেরই এক কর্মী। কারণ, ব্যাঙ্কে নেই কোনওরকম নিরাপত্তা বা অ্যালার্ট মেশিন।
আপাতত ওই ডাকাতদলের খোঁজে দুমকা পুলিশ। ছয় জনই ডাকাতির পর বাইকে চম্পট দেয়। কালো মুখোশ থাকায় তাদের ঠিক মতো চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। চলছে ডাকাতির সময় উপস্থিত ব্যাঙ্ক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ। বারবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।
Be the first to comment