আদালতের রায়ে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। হাওড়ার পাঁচলায় লক্ষ লক্ষ টাকাসমেত গ্রেপ্তার হওয়া বিধায়কদের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই বা নিরপেক্ষ কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে এই মামলার তদন্তভার হস্তান্তর নিয়ে তাঁরা যে আর্জি জানিয়েছিলেন খারিজ করলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
পাশাপাশি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশের আর্জিও প্রত্যাখ্যান করল আদালত। বিচারপতি জানান, নিরপেক্ষভাবে, স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে CID।
গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য মামলা হস্তান্তরের জন্য পর্যাপ্ত নয়। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশে বলা আছে যে অভিযুক্ত কখনও তদন্তকারী সংস্থা নির্বাচন করতে পারে না। অভিযুক্তদের গাড়ি হাওড়ার পাঁচলা থেকে আটক হয়েছে। ফলে রাজ্য পুলিশের তদন্ত করতে কোনও অসুবিধা নেই। তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশির তরফে যে প্রক্রিয়াগত গাফিলতির অভিযোগ মামলাকারীরা করেছেন, তাও গ্রহণযোগ্য নয়।
বিধায়কদের বক্তব্য, এই অভিযোগে একাধিক রাজ্যের যোগ রয়েছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কীভাবে তদন্ত করবে? তাই যে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আরজি জানাচ্ছি। পাশাপাশি সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশের আবেদন জানাচ্ছে। রাজ্যের বক্তব্য, FIR আপলোড করার জন্য ৭২ ঘণ্টার সর্বোচ্চ সময়সীমা নির্ধারিত আছে। সঙ্গে সঙ্গে FIR আপলোড করা হয়নি বলে মামলা CBI-কে হস্তান্তর করতে হবে, এটা কোনও গ্রহণযোগ্য যুক্তি হতে পারে না। পয়লা আগস্ট এফআইআর ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা নির্বাচন করার অধিকার অভিযুক্তের নেই।
গত শনিবার অর্থাৎ ৩০ জুলাই রাতে হাওড়ার পাঁচলার কাছে ঝাড়খণ্ডের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্য পুলিশ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করে। ওই গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁরা কেন সেই টাকা নিয়ে এসেছিলেন, কোথায় যাচ্ছিলেন, সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত করছে সিআইডি। সেই তদন্তেই স্থগিতাদেশের আরজি জানান তিন বিধায়ক। হাই কোর্ট তা খারিজ করায় বলাই বাহুল্য আরও বিপাকে পড়লেন তাঁরা।
Be the first to comment