রেশনের জিনিসপত্র না পেয়ে অনাহারে মৃত্যু হল এক বিধবা মহিলার। ঘটনাস্থল সেই ঝাড়খন্ড। যেখানে কয়েকমাসে আগেই রেশনের অভাবে না খেতে পেয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক আদিবাসী কিশোরীর। পার্থক্য শুধু একটাই কিশোরীর রেশনকার্ড থাকা সত্ত্বেও রেশন মেলেনি। আর ডুংরি জেলার মঙ্গারগাড্ডি গ্রামের সাবিত্রী দেবী রেশন কার্ডই ছিল না। শনিবার না খেতে মৃত্যু হয় সাবিত্রী দেবীর। রবিবার ছোট ছেলে হুলাস মাহাতো দূরের শহর থেকে বাড়ি ফিরে মায়ের মৃত্যুর খবর প্রশাসনকে জানায়। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেন খাদ্য দফতরের কর্তারা । ‘সত্যিই ঘরে গিয়ে এক মুঠো খাবার মেলেনি।’
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতার শিকার হলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। কেন ওই পরিবারের রেশন কার্ড হয়নি বা আদৌও রেশন কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে কিনা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। হুলাস জানিয়েছে, মা, দাদা, বৌদি সহ আটজনের পরিবার তাদের। একটুকরো জমি থেকেও যদিও বা কিছুটা দানাপানি জুটত, গত তিনমাস ধরে সেটাও শেষ। সাবিত্রী দেবী একসময় বিধবাভাতা পেতেন। কয়েকমাস ধরে সেটাও বন্ধ। ওইদিকে দুই ভাই দূরের শহরে কাজা করলেও নিয়মিত মাইনে হয়না। গত একসপ্তাহ ধরেই সমস্যা চরম আকার ধারণ করে। ওই গ্রামের প্রধান জানান, কয়েকমাস আগেও সাবিত্রী দেবী পরিবারের জন্য রেশনের আবেদনের ফর্মে সই করেছেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন কার্ড হয়নি সদুত্তর দিতে পারছে না কেউই।
Be the first to comment