কামারশালার আড়ালেই চলছিল অস্ত্রের কারবার। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কামারশালায় হানা দিয়ে পর্দাফাঁস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ। এদিকে, বর্ধমানে মিলল আগ্নেয়াস্ত্রের জাল লাইসেন্স তৈরির চক্রের খোঁজ। অস্ত্রশস্ত্র-সহ ৬জনকে পাকড়াও করেছে সিআইডি।
পুলিশ জানতে পারে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার দক্ষিণ হোমরায় একটি কামারশালা রয়েছে। যার মালিক গরানবেড়িয়ার পালপাড়ার বাসিন্দা তারক কর্মকার। তদন্তকারীরা গোপন সূত্রে খবর পায় ওই কামারশালার আড়ালে রমরমিয়ে চলছে অস্ত্র কারবার। সেই খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই কামারশালায় তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র কারখানার খোঁজ পাওয়া যায়।
পুলিশ এই ঘটনায় তারক কর্মকার নামে কামারশালার মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অস্ত্র কারখানা থেকে বেশ কয়েকটি বন্দুক এবং অস্ত্র তৈরির একাধিক যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃত তারককে জেরা করে নানা তথ্যের খোঁজ করছে পুলিশ। কতদিন ধরে অস্ত্র তৈরির কারবার চলছিল, অস্ত্র তৈরির পর কাদের কাছে তা সরবরাহ করা হত, তারক ছাড়া আর কে কে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, এভাবে ঠিক কত টাকা আয় করত তারক – এমনই নানা তথ্যের খোঁজ করছে পুলিশ।
এদিকে, বর্ধমানে মিলল আগ্নেয়াস্ত্রের জাল লাইসেন্স তৈরির চক্রের খোঁজ। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মেমারি থেকে এই চক্রের হদিশ মেলে। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। ধৃতেরা হল সফিক মোল্লা, জুলফিকার শেখ, সাবির মোল্লা, ইমানুল মণ্ডল, হাফিজুল শেখ, বিমান মণ্ডল। তাদের কাছ থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫টি ভুয়ো লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেন আধিকারিকরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Be the first to comment