গুজরাটে চমক দিল কংগ্রেস, বাজিমাত করলেন জিগ্নেশ-অল্পেশ-হার্দিকরা

Spread the love

শেষ হলো লড়াই। সোমবার প্রকাশিত হলো গুজরাট ও হিমাচলপ্রদেশ ভোটের ফলাফল। এদিনের ফলাফলে বিজেপি বাজিমাত করলেও আশ্চর্যজনক ভাবে চমক দিয়েছে কংগ্রেস ৷ গেরুয়া ঝড়ের মাঝেই কড়া টক্কর দিলেন রাহুল গান্ধির দুই সহযোদ্ধা জিগ্নেশ মেবানি ও অল্পেশ ঠাকুর। গুজরাটের নির্বাচনী ময়দানে কংগ্রেসের পতাকা ওড়ালেন এই দুই তরুণ নেতা। গুজরাটে দীর্ঘ বাইশ বছর ধরে গুজরাতের ক্ষমতায় বিজেপি। কিন্তু, নির্বাচনী ময়দানে এবার তারা কংগ্রেসের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। গ্রামীণ গুজরাটের উন্নয়নই এবারের ভোটের ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। সেইসঙ্গে জোরদার হয় পতিদার ও প্যাটেলদের সংরক্ষণের আন্দোলনও। সমস্ত ইস্যুকে এক সুতোয় বেঁধে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি নির্বাচনী ময়দানে নামেন। আর তাতেই বাজিমাত করলো কংগ্রেস দল। বদগাম ও রাধোনপুর কেন্দ্র থেকে জিতে কংগ্রেসের মানরক্ষা করল জিগ্নেস, অল্পেশরা ।

প্রসঙ্গত, দলিত সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে গুজরাটে বহুদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে আসছেন জিগ্নেশ৷ তপশিলী জাতির জন্য সংরক্ষিত কেন্দ্র বদগাম থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী জিগ্নেশ মেবানি। জিগ্নেশের জনপ্রিয়তার কাছে কার্যত ম্লান হয়েছে পদ্ম। বিজেপি প্রার্থী বিজয় চক্রবর্তীকে হারিয়ে ১৮,১৫০ ভোটে জিতলেন ৩৬ বছর বয়সী জনপ্রিয় এই দলিত নেতা। অন্যদিকে, জনপ্রিয়তার নিরিখে নিজের কেন্দ্রে বিজেপিকে কার্যত ধূলিসাৎ করেছেন কংগ্রেস নেতা অল্পেশ ঠাকুর। গুজরাটের অন্যতম বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী কেন্দ্র রাধোনপুর থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন বছর ৪০-এর তরুণ অল্পেশ ঠাকুর। তাঁর বিপরীতে ছিলেন, বিজেপি প্রার্থী লাভিনঞ্জি ঠাকুর।

গুজরাট নির্বাচনে কংগ্রেসের উত্থান গেরুয়াশিবিরের নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিল। গতবার ১৮২টি আসনের মধ্যে ১২১টি আসন শেষ পর্যন্ত পায় বিজেপি। কংগ্রেসের হাতে ছিল ৬১ আসন। কিন্তু এবার সেই সব হিসেবনিকেশ উল্টে দিয়েছে কংগ্রেস। রাহুলের মাষ্টার স্ট্রোকে গুজরাটে বেশ ভালোই ধাক্কা খেল বিজেপি। তাই গুজরাটে ষষ্ঠবার বিজেপি সরকার গড়লেও রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেসের ফলাফল যে বাড়তি অক্সিজেন জোগাল তা বলাই চলে। কংগ্রেস হারলেও কেশুভাইয়ের পর পতিদার সম্প্রদায়ের জন্য শক্তিশালী নেতা হিসেবে হার্দিক প্যাটেলের পায়ের জমি আরও শক্ত হল। গ্রামীণ গুজরাটেও জয়জয়কার কংগ্রেসের। একমাত্র মধ্য ও দক্ষিণ গুজরাটেই বিজেপি ভালো ফল করেছে। যদিও হার্দিক, অল্পেশ, জিগ্নেশদের অভিযোগ ইভিএমে কারচুপি করেই এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ঠিকঠাকমতো ভোট হলে ফলাফল আরও আশানুরূপ হতো কংগ্রেসের। তবুও হাত শিবিরের দাবি গুজরাটের এই ফলাফলে তারা সন্তুষ্ট।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*