শেষপর্যন্ত বিজেপিতেই যোগদান করলেন তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। হুগলির বৈদ্যবাটির সভায় পদ্মপতাকা হাতে তুলে নিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ।
আজ বৈদ্যবাটির জনসভা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। ওই সভাতেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি যোগ দিতে দিলেন। এর আগেও বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জল্পনা ওঠে কিন্তু তখন মত বদলে আবার তৃণমূলেই আছি দাবী করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারী। সূত্রের খবর, উত্তর আসানসোল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন জিতেন্দ্র।
সূত্রের খবর, নিজের কেন্দ্র পাণ্ডবেশ্বর থেকে টিকিট পেতেন না তৃণমূলের একদা দাপুটে নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। রানিগঞ্জ বিধানসভার টিকিট দেওয়া হত বলে দাবি। ঘনিষ্ঠ মহলে জিতেন্দ্র জানিয়েছিলেন, রানিগঞ্জ থেকে লড়তে অনিচ্ছুক তিনি।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ওই কেন্দ্র থেকে জয় পাওয়া কঠিন ছিল তাঁর পক্ষে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ কয়েক আগে তাঁকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল। জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই দায়িত্ব নিয়ে খুব একটা খুশিও ছিলেন না তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, কার্যত ক্ষমতাহীন দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর আচমকা শহরের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে প্রথমে আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক থেকে পদত্যাগ করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পরে দলের জেলা সভাপতির পদও ছেড়ে দেন। কিন্তু মাত্র দু’দিনের মধ্যেই তিনি কলকাতায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে নিজের ভুল স্বীকার করে আবার দলে ফিরে আসেন। তারপর তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন ও দলে কাজকর্ম শুরু করেন।
ফেসবুকে জানিয়েছিলেন, ‘দিদিকে ছেড়ে কোথাও যাব না।’ এরপর কলকাতায় তৃণমূল ভবনে হিন্দি-সহ বিভিন্ন ভাষার বুদ্ধিজীবী ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চেই সুব্রত বক্সী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।
ফিরে এসে নিজের হারানো ‘রাজত্ব’ ফিরে পাননি আসানসোলের ‘বেতাজ বাদশা’ জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তার পর থেকেই ফুঁসছিলেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পাণ্ডবেশ্বরে টিকিট না পাওয়া নিয়ে অসন্তোষ চরমে ওঠে। এরপর দলবদলের সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।
Be the first to comment