একজন সেনা জওয়ান হয়ে কেন জনতাকে প্ররোচিত করছিল জিতু? আইনের রক্ষক হয়ে কিভাবে পুলিশের দিকেই পাথর ছুঁড়ছিল? বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজের ঠিক ডানদিকে দেখা গেছে জিতুকে। এমনটাই জানালেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সবচেয়ে সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক আনন্দ কুমার। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ঝামেলার কেন্দ্রবিন্দুতেই সদর্প উপস্থিতি ছিল জিতুর। একজন সেনার কাছে থেকে এরকম ব্যবহার প্রত্যাশিত নয়।
প্রসঙ্গত, শ্রীনগরে শনিবার রাত একটা নাগাদ তাকে এসটিএফের হাতে তুলে দেয় সেনা। একদিন আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের বিশেষ তদন্তকারী দল। দিনভর কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। রাতে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, প্রাথমিক জেরায় জিতু স্বীকার করেছেন, গত সোমবার ঘটনার দিন তিনি সেখানে ছিলেন। ছুটি নিয়ে দিনকয়েক আগেই বাড়িতে ফিরেছিলেন। ঘটনার দিন রাতেই উত্তরপ্রদেশ থেকে শ্রীনগরে চলে যান। তবে গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন।
উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের আধিকারিক অভিষেক সিং জানান, পুলিশ অফিসার সুবোধ সিং ও আরেক বিক্ষোভকারী সুমিতকে তিনিই গুলি করেছেন কিনা জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। জিতুকে বুলন্দশহরে নিয়ে গিয়ে দ্রুত আদালতে তোলা হবে। সেখানে ফের নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। তিনি আরও জানান, বুলন্দশহরে বিক্ষোভকারীদের হামলার বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে জিতুকে দেখা গেছে। সুবোধ সিং ও সুমিতকে যেই পিস্তল দিয়ে খুন করা হয়েছে, সেটি আর্মি পিস্তল হিসেবেই বেশি পরিচিত। বুলন্দশহর হিংসায় ঘটনায় এগারো নম্বর অভিযুক্ত তিনি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে তাঁরাও তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি।
Be the first to comment