মুখ থেকে রক্ত থেকে বেরোচ্ছে, ফেটেছে মাথা ৷ পড়েছে ১৫-১৬টা সেলাই ৷ ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নেত্রীকে আক্রমণের ঘটনায় প্রতিবাদে নেমেছে সারা দেশ । এবার সেই ঐশী ঘোষ সহ আরও ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুম ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা রুজু করল দিল্লি পুলিশ ৷ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ৷
ক্যাম্পাসে হামলার আগের দিন অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি সার্ভার রুমে ভাঙচুর ও নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরের অভিযোগে ঐশীসহ বাকিদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছে । সেই ঘটনাতে ছাত্র সংসদের JNUSU-এর প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে প্রায় ৫০ জন মুখোশ পরা দুষ্কৃতী ক্যাম্পাসে ঢোকে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা । লাঠি হাতে দুষ্কৃতীরা ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চড়াও হয় । তারা কারা, কীভাবে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকল, প্রশ্ন করতে থাকে পড়ুয়াদের একাংশ । সাহায্যের জন্য অধ্যাপকদের উদ্দেশ্যে তাঁরা চিৎকার করেন । পড়ুয়াদের রক্ষা করতে এসে আক্রান্ত হন অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা । জখম হন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন । তাঁর মাথায় চোট লাগে । তাঁকে দিল্লির AIIMS-এ নিয়ে যাওয়া হয় । যদিও এই ঘটনায় FIR দায়ের হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ ৷ এই হামলায় ABVP-র বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে । JNU-র ছাত্র সংসদের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে লেখা হয়, ‘যে অধ্যাপকরা আমাদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন , তাঁদেরও মারধর করে ABVP আশ্রিত গুন্ডারা । তাদের মুখ ঢাকা ছিল ।’
ঘটনার পরই দেশজুড়ে সর্বত্র প্রতিবাদ শুরু হয় ৷ পথে নামেন পড়ুয়ারা ৷ হাসপাতালে ভরতি হলেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি ঐশী ৷ ছাড়া পেয়েই জানিয়েছিলেন, রডের জবাব সংবিধানে দেওয়া হবে ৷ আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন না তাঁরা ৷
Be the first to comment