জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)-এর হামলার ঘটনায় তিন অধ্যাপক ওইদিন অর্থাৎ গত ৫ জানুয়ারির CCTV ফুটেজ সংরক্ষণের দাবি করলেন ৷ শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে এই নিয়ে আবেদন জানান তাঁরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুষ্কৃতী হামলার যাবতীয় নথি ও প্রমাণ সংরক্ষণের দাবিও জানান।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের শাস্ত্রী ভবনে যাবে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ঐশী ঘোষ। আজ দুপুর ৩টের সময় উচ্চশিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি এবং পড়ুয়াদের অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে । ফি বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করবে প্রতিনিধি দল।
এদিকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও স্বাভাবিক । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা আবার শুরু হবে। আমরা প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে তাঁর শিক্ষার লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবো।
৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে প্রায় ৫০ জন মুখোশ পরা দুষ্কৃতী ক্যাম্পাসে ঢোকে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। লাঠি হাতে দুষ্কৃতীরা ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চড়াও হয়। তারা কারা, কীভাবে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকল, প্রশ্ন করতে থাকে পড়ুয়াদের একাংশ। সাহায্যের জন্য অধ্যাপকদের উদ্দেশ্যে তাঁরা চিৎকার করেন। পড়ুয়াদের রক্ষা করতে এসে আক্রান্ত হন অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। জখম হন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। তাঁর মাথায় চোট লাগে। তাঁকে দিল্লির AIIMS-এ নিয়ে যাওয়া হয়।
যদিও এই ঘটনায় FIR দায়ের হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ ৷ এই হামলায় ABVP-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। JNU-এর ছাত্র সংসদের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে লেখা হয়, যে অধ্যাপকরা আমাদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদেরও মারধর করে ABVP আশ্রিত গুন্ডারা। তাদের মুখ ঢাকা ছিল।
Be the first to comment