সম্প্রীতির রং সাদা বোঝালো জর্ডন ও ভারত

Spread the love

সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে জর্ডন ও ভারত দুই দেশই যে এক সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন দুই রাষ্ট্রনায়ক। দিল্লীতে হয়তো আগামীকাল হোলি, রঙের উৎসব তথা মিলনের উৎসবে মাতবেন মানুষ কিন্তু আজকে দোলের মধ্যে দিয়েই দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষ রামধনু রঙে মাতোয়ারা হয়েছেন। এটাই বোঝায় ধর্ম এখানে পেছনে পড়ে যায়। সংকীরতা মুখ লুকায়। জাতপাত অঙ্কুরেই মৃত বলে বিনষ্ট হয়। সন্ত্রাসবাদ সবসময়ই সারাবিশ্বের কাছে অভিশাপ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখেও শোনা গেল সেই কথা। নতুন দিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এক আলোচনাচক্রে হাজির ছিলেন জর্ডনের রাজা আবদুল্লা-II হুসেইনি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বক্তব্য রীতিমত হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তিনি বলেন, মুসলিম যুবকদের এক হাতে থাক কোরাণ আর অন্য হাতে কম্পিউটার অর্থাৎ তুমি ধর্মগ্রন্থ পড়ো, ধর্ম চর্চা করো, কিন্তু তার সাথে প্রথাগত শিক্ষাটাও অর্জন করো। প্রযুক্তিকে অবলম্বণ করো। বিজ্ঞানে শিক্ষিত হও।

প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ভারত তথা সারাবিশ্বে মুসলিমদের শিক্ষার অভাব রয়েছে। কোন ধর্মেই চরমপন্থাকে বরদাস্ত করা উচিত নয়। ঘৃণা তৈরী করে সন্ত্রাসবাদী মন। তাই ঘৃণা মন থেকে তাড়ান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ি। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও মনে করিয়ে দেন, বসুধৈব কুটুম্বকম। The whole world is a family.

এরপর বলতে ওঠেন জর্ডনের রাজা আবদুল্লা-II হুসেইনি। তিনিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সুর মিলিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। বলেন, অত্যন্ত শক্ত হাতে সন্ত্রাসের দমন করতে হবে। মুসলমান হোন বা যে ধর্মেরই লোক হোন, বিশ্বাস করুন, ক্ষমা, দয়া, সহনশীলতা এই তিনটি গুন প্রত্যেকরই থাকা উচিত। তিনি আরও বলেন, চরম পন্থা বা উগ্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা হলো ইসলামের মূল আদর্শ। আপনারা সেই লড়াই থেকে বিচ্যুত হবেন না। দুই রাষ্ট্রনায়কের গলাতে একই সুর বাজে, তা হলো শান্তি, সম্প্রীতি। ঘৃণা নয় সহনশীলতা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*