ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পরেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল সাংবাদিক জামাল খাশোগিরকে। দেহ যাতে খুঁজে না পাওয়া যায় সেই জন্য টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছিল মৃত খাশোগিকে। বুধবার, ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন তুরস্কের প্রসিকিউটর।
রিয়াধ থেকে পাঠানো হয়েছিল বিশেষ দল। তাদের কাজ ছিল যত দ্রুত সম্ভব খাশোগির মুখ বন্ধ করা। আর হলোও তাই। ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে জামাল পৌঁছনর পরে তাই আর সময় নষ্ট করেনই রিয়াধ থেকে আসা ওই দুষ্কৃতীদের দল। নিমেষে তারা শেষ করা ফেলে জামাল খাশোগিকে।
সৌদির সরকার এর আগেই স্বীকার করে নিয়েছিল যে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যেই খুন করা হয়েছে খাশোগিরকে। সৌদির রাজধানী রিয়াধের তরফে সে দেশের সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয় এই তথ্য। এমনকী এও বলা হয়েছিল মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বাঁচার তাগিদে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন সাংবাদিক জামাল খাশোগি।
সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের রিপোর্ট অনুসারে,ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট ৫৯ বছরের জামাল খাশোগিকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছিল। যাতে তাঁকে চিনতে না পারা যায় সেই জন্য ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়েছিল জামালের মুখ।
প্রসঙ্গত চলতি মাসের ২ তারিখে নিজের তুর্কি বাগদত্তা হ্যাটিস সেনজিজকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন জামাল খাশোগি। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠেছিল,সরকার বিরোধী মনোভাব পোষণ করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল সৌদির উপ-গোয়েন্দা প্রধান আহমাদ আল-আসিরি এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সৌদি আল-কাহতানিকে জামাল খশোগি’র খুনের ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ১৮ জনকে। এ বার প্রকাশ্যে এল আরও এক নতুন তথ্য।
Be the first to comment