গণতান্ত্রিক দেশে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রমণ নেমে আসছে সংবাদমাধ্যমের উপর। বিশেষ করে বলতে হয় সংবাদমামধ্যমের কর্মীদের উপর। সাংবাদিক, চিত্রসাংবাদিকরা দৈহিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ ও শান্তনু ভৌমিকের খুনের ঘটনা আমাদের মনে গভীর ক্ষতটাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সমস্ত সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা।
সাংবাদিকদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে দেশের সমস্ত প্রেস ক্লাব আজ প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। ২ অক্টোবর জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। অহিংসার পূজারি মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে সাংবাদমাধ্যমের কর্মীরা রাস্তায়। কারণ, তাদের উপর নেমে আসা আক্রমণের প্রতিবাদ। এই আক্রমণ বন্ধ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিবাদ, আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সংবাদিককূলকে রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেশের প্রেস ক্লাবগুলি। দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই-এর পাশাপাশি কলকাতাতেও প্রেস ক্লাব রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক, সভাপতি স্নেহাশিস শূর প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন। কিংশুকবাবু বলেন, এই প্রতিবাদের দিন হিসেবে আমরা মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনকে বেছে নিয়েছি। সারা দেশজুড়ে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আক্রমণ বন্ধ না হলে আগামী দিনে আরও বড়ো আন্দোলন আমরা গড়ে তুলব।
Be the first to comment