পিয়ালি আচার্যঃ
রূপং দেহি, জয়ং দেহি, যশো দেহি, দ্বিষো জহি, মা দূর্গার কাছে এই কামনা করে আবাল বৃদ্ধ বনিতা প্রার্থনা করেন দেবী প্রপানাত্রি হরে প্রসীদ, প্রসীদ মা তমিশ্বরী।
এই মা দুর্গা তথা নারীশক্তি দেশে বিদেশে বিভিন্নরূপে পূজিতা হোন। কখনো কালী, তারা, মহাবিদ্যা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, কখনো ছিন্নমস্তা, বিদ্যা কখনো বা তিনি ধূমাবতি, মাতঙ্গী, কমলাত্মিকা রূপে সকল কুশক্তির বিনাশ করেন। আবার কখনো মা পরম বৈষ্ণবী, তাইতো কবির ভাষায় ওগো মা তোমায় দেখে দেখে মোদের আঁখি না ফেরে……
জম্মু কাশ্মীরের কাটরায় মা-এর বৈষ্ণবী রূপ। মাতৃরূপেন সংস্থিতা এখানে দেবী। মহাকালী, মহালক্ষী এবং মহাসরস্বতীর এই তিনরূপে যেন ত্রিবেণী সঙ্গম। ত্রিকুট পর্বতের কোলে মা পূজিতা হোন বলে ত্রিকুটা বা মাতারাণী বলেও তিনি প্রসিদ্ধ। কাটরা থেকে পাকদন্ডী পথে ১৩.৫ কিলোমিটার গেলে মা বৈষ্ণোদেবীর মন্দির। যাতায়াতের নানা ব্যবস্থা আছে। ঘোড়া, ব্যাটারীচালিত গাড়ী, পালকি, ঝাঁকামুটে প্রভৃতি নানাভাবে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও পুণ্যলাভের আশায় দুর্গম পথে সিঁড়ি ভেঙে যান বহু মানুষ। প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন মানুষ আসেন মায়ের মন্দিরে। এখানে দুর্গাপুজো মহাসমারোহে পালিত হয়। একইভাবে নবরাত্রিতেও উৎসব হয়। জয় মাতাদি ধ্বনিতে আকাশ বাতাস হয় মুখরিত।
বৈষ্ণোদেবী মন্দির ভারতীয় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় সরকার এর দেখভাল করলেও এই মন্দির পরিচালনার একটি পৃথক বোর্ড আছে, যা শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবীর শ্রাইণ বোর্ড নামে পরিচিত। আপনি বৈষ্ণোদেবী যেতে চাইলে অনলাইনে অবশ্যই এই বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
www.maavaishnodevi.org এই হলো বৈধ ওয়েবসাইট। বৈষ্ণোদেবী যেতে হলে কাটরা থেকে হেলিকপ্টারেও যেতে পারেন। তারও ব্যবস্থা করে দেয় এই বোর্ড। মাথা পিছু একদিকে যাওয়ার ভাড়া ১০০৫ টাকা।
মন্দিরে গিয়ে কোনো অসুবিধায় পড়লে অভিযোগ জানাতে পারেন feedback@maavaishnadevi,net এ
চিঠি লিখতে পারেনঃ-
Deputy CEO, In-charge Operation wing office of the CEO,
Shree Mata Vaishnadevi Shrine Board, Katra, Reyasi,
Jammu Kashmir, Pin – 18230
অন্ধকার গুহার মধ্যে সদা প্রজ্জ্বলিত মা-এর মূর্তি যেন তমসা থেকে জ্যোতির দিকে নিয়ে যায়।
ছবিঃ রাজকুমার ঘোষ
Be the first to comment