হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা মমতা সরকারকে তুলে ফেলে দেওয়ার কথা বলেন। এদিন তাঁর ভাষণে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ ও অরবিন্দের কথা। স্পষ্টই বোঝা যায় একুশের বিধানসভার আগে বাঙালি মন ছোঁয়ার প্রয়াস এটি।
এরপর সোজা মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর কেন্দ্রে আসেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির খুব কাছেই ৩৭/২ গিরীশ মুখার্জি রোডে করেন জন সম্পর্ক অভিযান। “আর নয় অন্যায়” নিয়ে সোজা পৌঁছে যান মানুষের দরজায়। কথা বলেন মানুষের সঙ্গে। জানতে চান অভাব-অভিযোগ। এটা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র যে তাই শুধু নয় মহানায়ক উত্তম কুমারের বাড়িও কাছেই। তাই একদিকে যেমন মমতার গড়ে এসে তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তেমনি উত্তম কুমারের পাড়ায় এসে বাঙালি সেন্টিমেন্টও ছোঁয়ার চেষ্টা করলেন জেপি নাড্ডা।
যেরকম ভাবে এদিন তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছে মমতা সরকারের তীব্র সমালোচনা, তেমনি উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকেও তুলে ধরেছেন তিনি অর্থাৎ অমিত শাহ যা বলে গিয়েছিলেন শুধু সমালোচনা নয় কেন্দ্রীয় সরকারের সদর্থক দিকগুলিও মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। নাড্ডার প্রতিটি কর্মসূচীতেই তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।
এরপর কালীঘাট মন্দিরে তিনি পুজো দিতে যান তিনি। পরে আইসিসিআরে তাঁর বৈঠক।
১০ ডিসেম্বর অর্থাৎ তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে তাঁর কর্মসূচী রয়েছে।
Be the first to comment