কাঁটার নাম #মি টু। হ্যাশট্যাগ সমেত এই কাঁটার জ্বালায় অস্থির গোটা বলিউড। কখন কার ঘাড়ে কোপ পড়ে সে চিন্তায় রীতিমতো ঠকঠক করে কাঁপছেন সেলিব্রিটিরা। দাবানলের মতো আন্দোলনের রেশ ছড়িয়েছে দেশের আনাচ কানাচেও। প্রতিদিনই কেউ না কেউ মুখ খুলছেন #মি টু নিয়ে। এ বার সরব বলিউডের মিষ্টি নায়িকা জুহি চাওলাও।
প্রায় তিন দশক ধরে রূপোলি পর্দা কাঁপিয়েছেন জুহি। এখনও পর্দায় তাঁর আবেদন অসামান্য। জুহির এক সময়ের সহকর্মীদের অনেকেই আজ যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত। কালি ছিটেছে প্রযোজক-পরিচালকদের গায়েও। বলিউডে #মি টু আন্দোলনের অন্যতম মুখ তনুশ্রী দত্ত বর্ষীয়াণ অভিনেতা নানা পটেকরের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার পরই একে একে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন অনেকেই। কেউ পক্ষে, কেউ বা বিপক্ষে মুখ খুলেছেন।
অভিযোগ উঠেছে বিখ্যাত প্রযোজক ও পরিচালক সুভাষ ঘাই, কিংবদন্তি সাংবাদিক এম জে আকবর, সুরকার অনু মালিক, অভিনেতা রজত কাপুর, তথাকথিত বেস্ট সেলার সাহিত্যিক চেতন ভগত-সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে। এমনকি সাজিদ কপূর, কৈলাশ খের, ‘সংস্কারি অভিনেতা’ অলোক নাথ অবধি #মি টু কাঁটায় বিদ্ধ। জুহি বলেছেন, ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এই তারকাদের বিরুদ্ধেও, আমি স্তম্ভিত।’’
শেলি চোপড়া ধরের ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’ ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত জুহি। আগামী বছর মুক্তি পাবে এই ছবি। জুহির সঙ্গেই পর্দায় মুখ দেখাবেন অনিল কপূর, রাজকুমার রাও ও সোনম কপূর। জুহির কথায়, চারদিকে প্রলোভনের জাল বিছানো। অতএব সতর্ক থাকতে হবে সবাইকেই। তাঁর দাবি, “শুধু উঠতি তারকা নয়, সতর্ক থাকতে হবে ফিল্ম দুনিয়ায় কাজ করতে আসা যে কোনও মেয়েকেই। গ্ল্যামার মানেই চারদিকে প্রলোভনের হাতছানি। পেশার কারণেই সামনে আসবে এমন নানা বাধা। সেটাকে বুদ্ধি করে কাটিয়ে যাওয়াই একমাত্র পথ। ” কাজের মাধ্যমেই নিজের পরিচিতি তৈরি করাটা দরকার বলেই মনে করছেন নায়িকা। তাঁর কথায়, “আমি মনে করি তোমার কাজই তোমার পরিচয়। কাজের মাধ্যমেই সাফল্য আসবে। ভগবান সঙ্গে আছেন, তিনিই সবসময় রক্ষা করবেন। বাঁকা পথে কখনও সাফল্য আসে না।”
Be the first to comment