কর্মবিরতি উঠছে না জুনিয়র চিকিৎসকদের, রাজ্যের সাথে আলোচনা চান গভীর রাতে জানালেন তাঁরা

Spread the love

রোজদিন ডেক্স: কর্মবিরতি এখনই তুলে নিচ্ছেন না জুনিয়র চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্য ভবনের কাছে অবস্থান বিক্ষোভও চালিয়ে যাবেন তাঁরা। মঙ্গলবার দীর্ঘ বৈঠকের পর মধ্যরাতে এমনটাই জানালেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।

এদিন জেনারেল বডি বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, তাঁদের যে পাঁচ দফা দাবিগুলো ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ‘ভয়ের পরিবেশ’ দূর করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। তাঁদের দাবি, এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের তরফে সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়নি। মূলত, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও থ্রেট কালচার নিয়ে আলোচনা করার জন্য ফের রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ই-মেল পাঠাবেন তাঁরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও একবার বৈঠকে বসতে চান তাঁরা।

এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি এখনও হয়নি। ডাক্তারদের জন্য রেস্ট রুম, মহিলা কর্মীদের জন্য শৌচালয়, পর্যাপ্ত সিসিটিভি-সহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি। আমাদের অবস্থান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মৌখিক ভাবে রোগীকল্যাণ সমিতিগুলিকে ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করলেও বাস্তবে কোনও লিখিত বার্তা আমরা পাইনি।’ তাঁদের এই দাবিগুলি মানা হলে জুনিয়র ডাক্তাররা দ্রুত কাজে ফিরে যেতে চান বলেও জানান।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বৈঠক হয় প্রায় দু’ঘণ্টা। ডাক্তারদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়া হয় বৈঠকে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার, ডিসি নর্থকে অপসারণের পাশপাশি দুই স্বাস্থ্য কর্তার বদলি করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে, চিকিৎসকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। পাশাপাশি, মঙ্গলবারের সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকেও নজর ছিল আন্দোলনরত চিকিৎসকদের। সুপ্রিম শুনানির পর ডাক্তাররা জানান, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি যথেষ্ট সন্তোষজনক। আইনজীবী আমাদের সমস্যাগুলো যথাযথ ভাবে আদালতে তুলে ধরেছেন।’ তবে আরজি কর হাসপাতালে যা যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার সবটা এখনও হয়নি বলে দাবি করেন তাঁরা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*