রোজদিন ডেক্স: দেশের উচ্চ আদালতে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না৷ সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন তিনি৷ তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ২০২৫ সালের ১৩ মে পর্যন্ত এই দায়িত্বভার সামলাবেন সঞ্জীব খান্না৷
গত শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, আইনজীবী ও কর্মচারীরা৷ উল্লেখ্য, তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে গত ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম সুপারিশ করেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়৷ তাঁর সেই সুপারিশ অনুযায়ী, গত ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে৷
বলা বাহুল্য, বিচারপতি খান্নার বাবা দেবরাজ খান্না ছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এইচ আর খান্নার হলেন তাঁর ভাইপো। আর এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে তিনি নিলেন দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি খান্না। তিনি সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে যাওয়ার আগে বারাখাম্বা রোডের মডার্ন স্কুলে পড়াশোনা করেন। তারপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল কলেজে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন বিচারপতি খান্না। ১৯৮৩ সাল থেকে আইনজীবী হিসেবে কেরিয়ার তিনি শুরু করেন। যুক্ত ছিলেন দিল্লির বার কাউন্সিলের। শুধু তাই নয় ২০০৪ সালে, তিনি দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের স্থায়ী পরামর্শদাতা (সিভিল) হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি দিল্লি হাইকোর্টে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এবং অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা সাওয়াল সওয়াল করেছিলেন। ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে মনোনীত হয়েছিলেন বিচারপতি খান্না।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি খান্না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে উন্নীত হন। তিনি ২০২৩ সালের ১৭ জুন থেকে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। বর্তমানে ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির গভর্নিং কাউন্সেলের সদস্য পদে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
Be the first to comment