দেবযানী লাহা ঘোষ,
কবীর, কবীর, কবীর। বেশ কিছুদিন ধরেই শহর জুড়ে নানা পোস্টার, টিজার আর নানা ধরনের লাইভ পারফরমেন্সের মধ্য দিয়েই আমরা কবীরের উপস্থিতি উপলব্ধি করছিলাম। অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় দেব এন্টারটেনমেন্টের তৃতীয় ছবি কবীর। ছবির প্রচার থেকেই ছবির গতি আর উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিলো। গতি যেখানে কথা বলে ছবি দেখতে দেখতে উত্তেজনার আঁচ অনুভব করা যায় শরীরে। গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুহূর্তের নান কোলাজ দৃশ্য গুলোকে প্রানবন্ত ও জীবন্ত করে তোলে। গতি, উত্তেজনা, টেনশন মিলিয়ে প্রায় টানটান সিনেমা কবীর। স্টারডাম থেকে বেরিয়ে এসে দেবের পরিণত অভিনয় এ ছবির এক অন্য স্বাদ।
সতাফ, প্রিয়াঙ্কা সরকার, কৃষ্ণেন্দু ও অর্ণ মুখোপাধ্যায় প্রত্যেকের অনবদ্য অভিনয়ের সঙ্গে এই ছবির মূল সম্পদ ইয়াসমিন অর্থাৎ সিনেমার প্রধান সম্পদ রুক্মিনী মৈত্র। অন্ধকার বন্ধ ঘরে হঠাৎ দমকা বাতাস এসে যে স্বাদ পাওয়া যায় রুক্মিনীর অভিনয় তেমনই স্বাদ আনে। এতকিছুর মধ্যেও সংযত আবেগ আর সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের আবহ এই ছবিকে অন্য মাত্রা দেয়। ছবির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একই গতি এবং টেনশন ধরে রাখতে সম্পূর্ণ সফল পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় এবং সম্পাদক রবিরঞ্জন মৈত্র। বাংলায় এমন প্রয়াস প্রযোজক হিসেবে এই সফলতার পুরো কৃতিত্ব দেব অধিকারীর। দেখতে দেখতে একবারও মনে হয়নি কোনও দৃশ্য অতিরঞ্জিত। তবে ২৪ ঘণ্টা ট্রেন জার্নির পর নায়িকার মেক আপের টোন আরও একটু ডাউন হলে ভালো হতো। কিন্তু সাসপেন্স আর উত্তেজনায় ভরপুর এই ছবি দেখতে বসে মনে হয়নি বাংলা ছবি দেখছি।
Be the first to comment