স্বাধীনতা দিবসের শুভ দিন থেকে আমাদের মহিলাদের অত্যন্ত প্রিয় পোর্টাল ‘রোজদিন’এর যে নতুন যাত্রা পথ শুরু হয়েছ তার প্রথম সেগমেন্ট ‘নব আনন্দে জাগো ‘-তে আমাদের রন্ধন উৎসাহী বন্ধুদের যে এই ভাবে পাশে পাবো তা আমাদের ভাবনার অতীত। খুব ছোট্ট একটা ইচ্ছাকে আমল দেওয়াই ছিল আমাদের ‘রোজদিন’ এর লক্ষ্য। যে সকল মহিলারা দিবারাত্র নিজেদের পরিবারের কাছের মানুষদের জন্য বিভিন্ন রান্না বান্না করে তাদের মন ভালো রাখার চেষ্টায় অবিরত তাঁদের রন্ধন শিল্পকে একটু স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার থেকেই ‘নব আনন্দে জাগো’ সেগমেন্টের ভাবনা এবং আমরা মাত্র এই কদিনেই যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। আর তাতে আমরা সত্যিই আপ্লুত।
কিন্তু গত সোমবার থেকে আমরা ‘রোজদিন’এর টিম অপর এক নতুন ভাবনার রূপ দিয়েছি রন্ধন শিল্প জগতের বন্ধুদের নিয়ে। যে সকল মহিলারা তাদের রন্ধন শিল্পের পারদর্শীতার নমুনা বিভিন্ন ম্যাগাজিন, ফুড গ্রুপ এবং প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে প্রায় প্রতিদিন নিজেদের অভিনবত্বের ছাপ দিয়ে চলেছেন এই সেগমেন্ট আমার সেই সব রন্ধন শিল্পী বন্ধুদের নিয়ে। এখন থেকে প্রতি সোমবার ‘রোজদিন’ এই সব রন্ধন শিল্পীদের নিজেদের শিল্প মাধুর্য দেখানোর আরো একটি প্লাটফর্ম হিসাবে তাঁদের দের পাশে থাকবে। ‘রোজদিন’ এর সম্পাদক মন্ডলী এবং ‘আহারে বাহারে’ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে আমি এই সব অভিজ্ঞ রন্ধন শিল্পী বন্ধু মহলের কাছে একটাই আবদার রাখবো আপনারা আমাদের পাশে বন্ধু হিসাবে থাকুন। আশা করি আগামী দিনে আপনারাও আমাদের থেকে যথাযথ বন্ধুত্বের মর্যাদা পাবেন।
আজকে আমাদের ‘রোজদিন’এর ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘ মালা’ সেগমেন্টে যার রন্ধন শিল্প তুলে ধরা হচ্ছে তিনি হলেন অভিজ্ঞ রন্ধন শিল্পী স্বাতী সেনগুপ্ত। স্বাতী সেনগুপ্তের কলকাতাতেই জন্ম। কলকাতাতেই বেড়ে ওঠা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে স্বাতীদিকে চার /পাঁচ মাস ধরে চিনলেও আমি নিজে যখন রন্ধন জগতে পা রাখি তখন থেকেই নানা রকম ফুড গ্রুপে আমি স্বাতীদির নানা ধরণের রেসিপি দেখেছি। আমার ব্যক্তিগত ভাবে স্বাতীদির যে যে গুনগুলি বিশেষ নজর কেড়েছে সেটা হলো কাজের প্রতি প্রচন্ড ভালোবাসা, নিষ্ঠা এবং গোছালো ভাবটা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি যে কাজই আমরা করি না কেন নিষ্ঠা একটা বিশাল বড়ো জিনিস। যেটা স্বাতীদির মধ্যে আছে। আর সেই জন্য হয়তো শারীরিক দিক থেকে পুরো পুরি সুস্থ না হয়েও স্বাতীদি নিজে একা হাতে হোম ডেলিভারির মত ঝক্কিপূর্ণ ব্যবসা চালায়। এছাড়া বেকিং নিয়েও সদ্য মাস তিনেক হলো ভালো মাপের কাজকর্ম শুরু করেছে।
আগামী দিনে স্বাতী দি আরো এগিয়ে যাক তার নিজস্ব রন্ধন জগৎ নিয়ে। আমরা স্বাতীদির থেকে আরো ভালো ভালো কাজ পেতে থাকি, এই শুভ কামনাই আমাদের ‘রোজদিন’ এর টোটাল টিমের তরফ থেকে স্বাতী সেনগুপ্ত এর প্রতি থাকলো।
আজকের রেসিপি- “কচু বাটা দিয়ে চিংড়ি ভাপা”
স্বাতী সেনগুপ্ত
উপকরণ
চিংড়ি মাছ -300 গ্রাম
মানকচু -200 গ্রাম বাটা
নুন স্বাদ মতো
চিনি -1 চা চামচ
নারকোল বাটা -2 টেবিল চামচ
সাদা সর্ষে বাটা -1 টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা বাটা -1 চা চামচ
গোটা কাঁচা লঙ্কা -3/4 টি
সর্ষের তেল – 2 টেবিল চামচ
প্রণালী–
চিংড়ি মাছ গুলো ভালো করে ধুয়ে ১ টি পাত্রে নিতে হবে। মানকচু আর নারকোল মিক্সিতে আলাদা করে বেটে নিতে হবে। এবার একে একে মাছের ভিতর নুন ,হলুদ ,চিনি ,কচু বাটা, সর্ষে বাটা ,নারকোল বাটা ,লঙ্কা বাটা আর তেল দিয়ে ভালো করে মেখে রাখতে হবে। এবার ১ টি মাইক্রো ওভেন বোল-এ মাছের মিশ্রণ দিয়ে কাঁচালঙ্কা ওপরে দিয়ে ওভেনে মাইক্রোও পাওয়ার দিয়ে ১০ মিনিট দিয়ে নামিয়ে ওপরে তেল ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই রেডি কচু বাটা দিয়ে চিংড়ি ভাপা। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
Be the first to comment