কচুয়া ধামে পাঁচিল ভেঙে বিপত্তি। দুর্ঘটনার পরই আতঙ্কে শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি। অসমর্থিত সূত্রে খবর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আহত কমপক্ষে ২৫। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। উল্লেখ্য, জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাত থেকে জনসমাগম হয় মাটিয়া থানার লোকনাথ বাবার কচুয়া ধামে। চলছিলো বৃষ্টি। ভক্তের চাপে মন্দিরের মূল গৃহে প্রবেশের মুহূর্তে পাঁচিল ভেঙে যায়। পদপিষ্ট হয়ে আহত হন কমপক্ষে ৩৩ জন। তাঁদের ধান্যকুড়িয়া, বসিরহাট, আরজি কর, এসএসকেএম ও ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালেই ন্যাশনাল মেডিকেলে যান মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ ও গুরুতর আহতদের ১ লাখ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা বলেন ৷ পাশাপাশি কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি রিপোর্ট পেয়েছি তরুণ মণ্ডল ও অপর্ণা সরকার মারা গেছেন। নমিতা সরকার, টুম্পা বিশ্বাস, মিলন সরকার ভর্তি আছেন ন্যাশনাল মেডিকেলে। বর্ধমানের জামালপুরের বাসিন্দা মৌমিতা সরকার আহত। মোহন বিশ্বাস, নেহালও আহত। আমি এখন এসএসকেএম-এ যাচ্ছি। সেখানে একজন ভর্তি আছে।
এদিকে, অসমর্থিত সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। পূর্ণিমা গড়াই নামে আরও একজনের নাম জানা গেছে। তাঁর বাড়ি রাজারহাটে। এসএসকেএম-এর ট্রমা সেন্টারে ভর্তি একজন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত এক পুণ্যার্থী জানান, ভিড়ের চাপে দাঁড়াতে পারছিলেন না তাঁরা ৷ পরে সবাই দোকান সহ পুকুরে পড়ে যান ৷ তিনি বলেন, বাবার মাথায় জল ঢালতে গেছিলাম ৷ লম্বা লাইন ছিল ৷ পাশেই পুকুর। পুকুরের ধারে খুব ভিড় ছিল ৷ এত ভিড়ের চাপ দাঁড়াতে পারিনি। পরিবারে পাঁচ-ছ’জন ছিলাম ৷ ঠেলাঠেলিতে আলাদা হয়ে যাই ৷ পরে পাঁচিল ভেঙে যায় ৷ পাশে থাকা দোকান সহ সবাই পুকুরে চলে যায় ৷ কয়েকজন পড়ে গেছিলাম। তারপর অজ্ঞান হয়ে যাই।
Be the first to comment