৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে

Spread the love
কাশ্মীরের বারমুলায় ধর্ষণের শিকার এক ৯ বছরের শিশু। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাচ্চাটির সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, বাচ্চাটির সৎ মায়ের প্ররোচনাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। বছর ১৪-র ওই কিশোর এবং তাঁর দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করেছে শিশুটিকে। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনও করা হয় ওই শিশুটিকে। এমনকী খুবলে নেওয়া হয়েছে তার চোখ। অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা শরীর। উরির জঙ্গল থেকে শিশুর পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাদের অনুমান, পারিবারিক হিংসা, অশান্তির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তারা আরও জানিয়েছে, প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই সম্ভবত ওই বাচ্চাটির সৎ মা এই কাজ করিয়েছেন। যদিও গোটা বিষয়টাই তদন্ত সাপেক্ষ। সবটাই ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটান। আর দ্বিতীয় পক্ষের এই মেয়েটি ছিল তাঁর স্বামীর খুব কাছের। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত এই হিংসা থেকেই বাচ্চাটির সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁর সৎ মা। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটিকে ভুলি ভালিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যান ওই মহিলা। আর তারপর নিজের ছেলে ও তাঁর দুই সঙ্গীকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দেন। গোটা ঘটনাই ঘটেছে ওই মহিলার সামনেই। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ধর্ষণের পর বাচ্চাটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তাঁর সৎ মা। কুড়ুল দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয় তাঁর সৎ ভাই। ঘটনাস্থলেই মেরে ফেলে হয় শিশুটিকে। এরপর অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বাড়ি ফিরে আসে। ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এক বোতল অ্যাসিড। ধারালো ছুরি দিয়ে উপড়ে নেওয়া হয় বাচ্চাটির চোখও। তারপর গোটা শরীরে ঢেলে দেওয়া হয় অ্যাসিড। এরপর অভিযুক্ত মহিলার ছেলের বন্ধুরা বাচ্চাটির দেহ একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ফেলে। উপরে ঢাকা দেওয়া হয় পাইন গাছের পাতা আর ডাল। তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের থেকে তথ্য নিয়ে খুনে ব্যবহৃত হওয়া ছুরি এবং কুড়ুল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি প্লাস্টিকের মধ্যে অ্যাসিডও খুঁজে পেয়েছে তারা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*