নববর্ষের প্রথম দিনই সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শহরে। কৈখালি চিড়িয়ামোড়ের কাছে একটি রঙের কারখানা এবং গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগল। আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী কারখানাতেও। শনিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দর লাগোয়া এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিমানবন্দরেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সি ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১১টা নাগাদ কৈখালি চিড়িয়ামোড়ের কাছে একটি রঙের কারখানা এবং গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি টের পান। স্থানীয় বাসিন্দা, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিনয় দাস বলেন, ‘রঙের কারখানার ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে আমরা ছুটে আসি। তারপর আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে দমকলে খবর দিই। কীভাবে আগুন লেগেছে তা বুঝতে পারছি না।’ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। পরে আরও দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। দমকল বাহিনীর মোট ১৭টি ইঞ্জিনের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণ নেভেনি। কালো ধোঁয়ায় ভরে রয়েছে পুরো এলাকা। রঙের কারখানাটি একেবারে কলকাতা বিমানবন্দরের সীমানা লাগোয়া এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এবং সেদিকেই আগুন লাগায় বিমানবন্দরের কর্মীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিমানবন্দরের তরফেও ফোম দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে হ্যাঙ্গারে টাঙানো বিমানগুলি সরাতে শুরু করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, রঙের কারখানার পার্শ্ববর্তী অন্য আরেকটি কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুনের লেলিহান শিখা। দুটি কারখানার ভিতরেই রঙ, রাসায়নিক ও গেঞ্জির কাপড়ের মতো প্রচুর দাহ্য পদার্থ মোতায়েন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্থানীয় থানার পুলিশও। ওই কারখানা দুটি লাগোয়া অন্যান্য দোকানের কর্মী ও বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এই অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণও স্পষ্ট নয়। তবে দুটি কারখানার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে পুলিশের অনুমান। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেন বিধায়ক অদিতি মুন্সি। পরে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও ঘটনাস্থলে যান। কী থেকে কারখানাটিতে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ ও দমকল বাহিনী জানিয়েছে।
Be the first to comment