মঙ্গলবার হেস্টিংসের কার্যালয়ে চললো রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেখানে হাজির দিলীপ ঘোষ–সহ রাজ্যের শীর্ষ নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্য। আছেন শিবপ্রকাশও। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গরহাজির রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এখনও বৈঠকে দেখা গেল না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। যদিও দু’জনকেই আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। রাজীব আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে কৈলাস সম্পর্কে কেউ কিছুই জানেন না। এই পরিস্থিতিতে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।
এই বৈঠকেই ঠিক হবে আগামী দিনের পথ চলার নীল নকশা। সেখানে একুশের নির্বাচনের পরাজয় নিয়েও আলোচনা চলছে বলে খবর। সূত্রের খবর, ভার্চুয়াল এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেন শিবপ্রকাশ। তবে এই বৈঠকে যোগ দেননি কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যা নিয়ে দলের অন্দরেই নানা কথা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বৈঠকেই বলেছেন, কোন মুখে যোগ দেবেন। ওঁর জন্যই তো আজ এই হাল। যদিও কেন্দ্রীয় নেতা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় জল্পনা তুঙ্গে। এখন প্রশ্ন, দলের অন্দরে বিক্ষোভের মুখ পড়ার ভয়ে যোগ দিলেন না তিনি?
এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুভাষ সরকার–সহ আরও অনেকে। সেখানে রাজীবের অনুপস্থিতি কী শুভেন্দুর কারণেই? উঠেছে প্রশ্ন। নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রফা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে? কোনও উত্তরই মেলেনি। এই বৈঠকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা না যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাতের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। যদিও বিজেপি নেতারা এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ।
Be the first to comment