‘গো ব্যাক, টিএমসি সেটিং মাস্টার’, কৈলাস–বিরোধী পোস্টার পড়লো বিজেপির কার্যালয়ে

Spread the love

এবার বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল হেস্টিংস কার্যালয়ে। বিজেপির কার্যালয়ের বাইরেই পড়ল একাধিক পোস্টার। এমনকী কলকাতা বিমানবন্দরে এবং ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনে পড়ে পোস্টার। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘গো ব্যাক, টিএমসি সেটিং মাস্টার।’

বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি–সহ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ। সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তা নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ উগড়ে দেন অনেকে বলে সূত্রের খবর। তারপরই শহরের বুকে এবং বিজেপির কার্যালয়ে পড়ল কৈলাস–বিরোধী পোস্টার। সেই পোস্টারে আবার মুকুল রায়ের সঙ্গে কৈলাসের ছবিও দেওয়া হয়েছে। আর নীচে লেখা ‘টিএমসি সেটিং মাস্টার’। উপরে লেখা, ‘‌গো ব্যাক’‌। সুতরাং কৈলাস গোষ্ঠী বনাম দিলীপ গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে। আবার দিলীপ গোষ্ঠীর নেতা নন, কিন্তু রাজ্য বিজেপিতে আছেন তাঁরাও ক্ষোভ দেখিয়েছেন কৈলাসের বিরুদ্ধে। সেখানে কৈলাস গোষ্ঠী কার্যত কোণঠাসা।

জানা গিয়েছে, মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের ভূমিকা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন অনেক বিজেপি নেতাই। এবার কৈলাসকে ‘বোকা বিড়াল’ বলে তোপ দাগলেন তথাগত রায়। এই বোকা বিড়ালটিকে তৃণমূল কংগ্রেসে নিয়ে যাওয়ার আবেদনও করেন তিনি। তার মধ্যে শহরজুড়ে পড়ল কৈলাস বিরোধী পোস্টার। এই মুহূর্তে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বৈঠকে যোগ না দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‌শিবপ্রকাশজিই তো যাচ্ছেন। আমি এখন মধ্যপ্রদেশে আছি। আমার কলকাতায় যাওয়ার দিনক্ষণ এখন ঠিক হয়নি।’‌ এখন প্রশ্ন উঠছে, শিবপ্রকাশকে এড়িয়ে যেতেই কি এদিন বাংলায় গেলেন না কৈলাস?‌ কারণ তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত।

আর তারপরই পড়ল পোস্টার। এই পোস্টার যে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ দেয়নি তাও স্পষ্ট কারণ আর যেখানেই দেওয়া সম্ভব হোক, বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে দিন–রাত লোকজন থাকে সুতরাং কৈলাস–বিরোধী গোষ্ঠীই এই পোস্টার ফেলেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। বিজেপিতে মুকুল রায়ের সঙ্গে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বঙ্গ রাজনীতিতে অনেকেই দেখেছেন। মুকুল রায় এখন বিজেপি অন্দরে সবচেয়ে বড় কাঁটা! তাই কৈলাসকে নিয়ে দল অন্দরে ক্ষোভ চড়ছে, এই পোস্টার তার প্রমাণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*