‘১০ মিনিট আগেও জানতাম না আমি প্রার্থী হচ্ছি’, প্রচার শুরু করলেন মমতার ভাতৃবধূ কাজরী

Spread the love

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের আর কোনও সদস্যকে তেমনভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি। ভবানীপুর উপ নির্বাচনে জয়ের পর ভাতৃবধূদের পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা। আর গতকাল পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় ভাতৃবধূকে টিকিট দিয়ে বড় চমক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। খোদ মমতার ওয়ার্ডেই প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আজ সকালেই প্রচার শুরু করে দেন কাজরী। তিনি জানান, মমতা যে তাঁকে প্রার্থী করবেন, এ কথা তিনি জানতেন না।

শনিবাসরীয় সকালে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কাজরী। প্রার্থী হওয়ার কথা কি তিনি জানতেন? জবাবে কাজরী বলেন, ‘প্রার্থী হওয়ার ১০ মিনিট আগেও জানতাম না যে আমি প্রার্থী হচ্ছি। মিটিং থেকে বেরিয়ে দিদি যখন ঘরে এল, তখনও দিদি আমাকে কিছু বলেনি। অন্য একজন বলল, লিস্টে তোর নাম আছে।’ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্য, তাই আগে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক যোগ না থাকলেও পরিবারের সঙ্গে যে রাজনীতি সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য, তা অনুমান করাই যায়। যদিও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাড়িতে রাজনীতির আলোচনা তেমন হয় না। তিনি বলেন, ‘দিদি বাড়ি চলে এলে একেবারে ঘরোয়া, রাজনীতিটা বাইরেই থাকে।’

তবে প্রথমবার ভোটে লড়াই, তাই মমতার আশীর্বাদ সঙ্গে নিয়েই নামছেন বলে জানান কাজরী। তিনি জানান, ‘দিদি সবসময়ই ভালো কাজ করার পরামর্শ দেন, মডেল ওয়ার্ড তৈরি করার কথা বলেন।’ তবে কাজরী জানিয়েছেন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিশেষ কোনও সমস্য নেই। কিছু ঘাট ভেঙে গিয়েছে, ভোটের পর সেগুলো সারিয়ে ফেলা হবে।

৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন রতন মালাকার। দীর্ঘদিন ধরে সেই পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন রতন মালাকার। দলীয় সূত্রে খবর, সংগঠন সম্পর্কে ধ্যান ধারনা খুব বেশি ছিল না রতন মালাকারের। দলের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভও ছিল বলে শোনা যায়। তাই সম্ভবত এবার বাদ পড়লেন তিনি। আর সেই জায়গায় টিকিট পেলেন মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়া। যদিও পরিবারতন্ত্রের নানা কথা বলে তৃণমূলকে বারবার বিঁধেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এবার ফের আরও এক সদস্যের রাজনীতিতে পদার্পণ।

শুধু কাজরীই নয়। প্রার্থী তালিকায় বেশ কয়েকটি নাম থেকেই স্পষ্ট যে পরিবারতন্ত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। তালিকায় রয়েছেন শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা মুখোপাধ্যায়। টিকিট পেয়েছেন, স্বর্ণকমল সাহা-র ছেলে সন্দীপন সাহা, শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ ভট্টাচার্য, তারক সিং-এর ছেলে অমিত সিং ও মেয়ে কৃষ্ণা সিং।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*