নিজের হাতে বাড়ির কালীপুজো সামলালেও কড়া নজর দুর্যোগ পরিস্থিতিতে! রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

নিজের বাড়ির কালীপুজো সামলান একা হাতে। তিনি নিজেই কর্তা, নিজেই আয়োজক। দিনভর উপোস করে নিজের হাতে সমস্ত আয়োজন করে থাকেন। আবার অতিথি আপ্যায়ণেও তিনিই থাকেন সর্বাগ্রে। কালীপুজোর দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে ওঠেন একেবারে ঘরের মেয়ে। সাধারণ শাড়িতে পুজোর জায়গায় সারাক্ষণ তাঁর উপস্থিতি সত্যিই বিশেষভাবে নজরে পড়ে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হল না। কিন্তু এবার তাঁকে নজর রাখতে হচ্ছে দুর্যোগ পরিস্থিতির দিকেও। কালীপুজোর রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বঙ্গে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা। পূর্বাভাস অনুযায়ী সেদিকে কড়া নজর রয়েছে প্রশাসনের। আর নিজের বাড়ির পুজোর মাঝে নিয়মিত তার খোঁজখবর নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। প্রয়োজনীয় তথ্যও জানাচ্ছেন বাড়ি থেকেই।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জনগণের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বললেন, ”কালীপুজো, দীপাবলিতে আনন্দ করুন। তবে ঝড়বৃষ্টি বেশি হলে ঘরেই থাকাই নিরাপদ হবে। প্রশাসন সবরকমভাবে প্রস্তুত। আপনারা সাবধানে উৎসব করুন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ”সাইক্লোন বাংলাদেশে চলে গেছে৷ আজ রাত ১২টায় ওখানে ল্যান্ডফল হবে। বাংলায় হালকা বৃষ্টি হবে। সবাইকে অনুরোধ, এখনও ফিরবেন না। আপনারা রিলিফ সেন্টারে থাকুন। সরকার যা ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটা মেনে চলুন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জারি থাকবে। সবাই দেখে নেবেন,ঝড় বৃষ্টি হলে বেরবেন না৷  আবহাওয়া কাল থেকে ভাল হবে।” তথ্য দিয়ে জানালেন,দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২৩৪৫৭ জনকে এবং উত্তর ২৪ পরগনার ১৯৩২৪জনকে নিরাপদ জায়গায়  সরানো হয়েছে। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের ২৪৯২২ জনকেও অন্যত্র সরানো হয়েছে। সবমিলিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মোট ৬৭৯৭৩জনকে। 

এদিকে নজর রাখলেও অবশ্য পুজোর প্রস্তুতিতে এতটুকুও খামতি নেই তাঁর। পরনে কালো পাড় সাদা শাড়ি, কাঁধে উত্তরীয়র মতো করে আরেকটি বস্ত্রখণ্ড। খুবই ছিমছাম, সাধারণ। দুপুর থেকে বাড়ির পুজোর আয়োজনে মহা ব্যস্ত দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। পুজোর জায়গা সাজানো থেকে পুরোহিতকে সাহায্য, একা হাতেই করছেন সব। বিকেলের দিকে ভোগ রান্নাও সারলেন নিজে। রান্নাঘরে ঢুকে খিচুড়ি রাঁধলেন, সাহায্য নিলেন না কারও। 

এরপর রাত জেগে পুজো দেখবেন, দেবেন অঞ্জলি, সেইসঙ্গে অতিথিদের আপ্যায়ণ। এই দিনটিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দুয়ার সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে।  যিনিই যান, প্রসাদ না খেয়ে ফেরেন না। তবে এবছর তাঁর মাথাব্যথা থাকছেই সিত্রাং নিয়ে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*