বিজেপি নেতা মানস সাহার মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজনা। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে রাস্তার উপর তাঁর দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ বাকি বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন ৷ এই উপনির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে ক্রমশ পারদ চড়ছে ৷ ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে বারবার বিজেপি নেতারা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছে ৷ বিজেপি প্রার্থী থেকে শুরু করে বিজেপির নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, প্রচারে বাধা দিচ্ছে পুলিশ ৷ গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় প্রচারে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন সুকান্ত মজুমদার ৷ পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয় ৷ পরে প্রচার না করেই তাঁকে ফিরে আসতে হয় বলে অভিযোগ ৷
এদিকে, আজ মমতার বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দলীয় নেতার দেহ রাস্তায় রেখে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি ৷ মৃত বিজেপি নেতা মানস সাহা বিধানসভা নির্বাচনে মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন ৷ ফল প্রকাশের দিন তাঁকে মারধর করা হয় ৷ তাঁর পর থেকে অসুস্থ ছিলেন তিনি ৷ বুধবার ঠাকুরকুরের নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার ৷ সরব হয়েছে রাজ্যের গেরুয়া নেতারা ৷ আজ মমতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। দফায় দফায় গন্ডগোল হয় ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে বিজেপি কর্মীরা ৷ হঠাৎ মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া গাড়ির সামনে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় ৷ পরে পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে পাঁজা কোলা করে তুলে নিয়ে যায়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলার গণতন্ত্র ধর্ষিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপি মহিলা কর্মী বিশেষ করে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশ অসভ্য আচারণ করেছে ৷”
Be the first to comment