শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আগন্তুক ঢুকে পড়ার ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। লালবাজার সূত্রের খবর, এই ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা এড়াতে সোমবার থেকে আরও বাড়ানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির নিরাপত্তা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে আরও ১৮ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে লালবাজার থেকে। কমপক্ষে আরও তিনটি পুলিস পিকেট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাড়ির চারিদিকে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কার গাফিলতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডিডি সিকিউরিটি কাছে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এদিন তিনি স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিজি সিকিউরিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে সূত্রের খবর।
শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি। সূত্রের খবর, বাড়ির পাঁচিল টপকে অন্দরে ঢুকে পড়ে সে। ঘটনার পরই কলকাতার পুলিস কমিশনার-সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। খতিয়ে দেখেন ঘটনাস্থল। পুলিস কুকুর দিয়ে তদন্ত করা হয়। ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় বম্ব স্কোয়াড। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিস হেফাজত দেয় বিচারক।
পুলিস সূত্রের খবর, অভিযুক্ত বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার না আশারিয়া নারানপুর গ্রামের বাসিন্দা। নাম হাফিজুল মোল্লা। বয়স ৩০ বছর। পেশায় গাড়ি চালক। চার বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, এই প্রথম নয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার আগে নিরাপত্তা এড়িয়ে নবান্নেও ঢুকেছিল হাফিজুল। পুলিস গ্রেফতারও করে তাকে। অভিযুক্তের বাবা থানায় গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যা রয়েছে হাফিজুলের। সেই কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সে।
Be the first to comment