সম্ভবত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন কমল নাথ। সিন্ধিয়াকে রাখা হবে দিল্লির রাজনীতির জন্য। যদিও এখনও দলের পক্ষে থেকে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমলনাথ ও সিন্ধিয়াকে পাশে নিয়ে একটি ছবি টুইট করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। ক্যাপশনে লেখা ছিল, সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধা হল ধৈর্য ও সময়। সেই হিসেব মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কমলনাথারে নামের পাশেই শিলমোহর পড়তে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে রাজস্থানের ক্ষেত্রে এখনও সেরকম কিছু জানা যায়নি। যদিও পাল্লাভারী অশোক গেহলতের দিকে। এমনটা শোনা গেলেও, এখনও নিশ্চিত খবর জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই তিন রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীদের চোখ ছিল দিল্লির দিকে।
দফায় দফায় মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান নিয়ে বৈঠক করেছেন রাহুল। বিকেলে তুঘলক রোডে রাহুলের বাড়িতে যান সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। নাম ঘোষণায় দেরিতে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে তিন রাজ্যেই। রাজস্থানে অশোক গেহলত আর মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের নাম উঠে আসতেই বিক্ষোভ বাড়ে আরও। শচিন পাইলটের সমর্থকরা ক্ষোভ জানাতে থাকেন প্রকাশ্যেই। তারা রাস্তা অবরোধও করে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণায় দেরিতে পাইলটের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা ইন্দ্রমোহন সিং দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শান্তি বজায় রাখতে সমর্থকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন পাইলট। রাহুল আলাদা আলাদা করে কথা বলেছেন চার নেতার সঙ্গেই। শোনা যাচ্ছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হলে তিনি তাতে অসম্মতি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, শিখদাঙ্গার সূত্রে কমলনাথের বিরুদ্ধে অকালি দলের প্রবল আপত্তিও হাইকম্যান্ডকে ভাবিয়েছে। কমলনাথ ও সিন্ধিয়ার সঙ্গে রাহুল দ্বিতীয় দফার বৈঠকও করেন। গেহলত ফিরে গিয়েছেন জয়পুরে। সেখান পরিষদীয় দলের বৈঠকে নেতা নির্বাচিত করা হবে। রায়পুরে ভূপেশ সিং বাঘেলের বাড়ির সামনেও উত্তেজনার খবর মিলেছে।
ভোপালে কংগ্রেস দফতরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সিন্ধিয়ার সমর্থকরাও। ছত্তিশগড়ে দাবিদার চারজন — ভূপেশ বাঘেল, টি এস সিংদেও, তাম্রধ্বজ সাহু এবং চরণদাস মহান্ত।
Be the first to comment